চলতি বছর দক্ষিণ চীন সাগরে সৃষ্ট ১৩তম টাইফুন কালমায়েগি চলতি সপ্তাহের শুরুতে আঘাত হানে ফিলিপিন্সে। দেশটিতে দুইদিন ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর প্রতিবেশী ভিয়েতনাম উপকূলে আছড়ে পড়ে টাইফুনটি।
ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয় দেশটির মধ্যাঞ্চলে। ফলে ভূমিধস, ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়া এবং গাছ-পালা উল্টে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি এলাকা। ব্যাহত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভারী বৃষ্টির কারণে এরইমধ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাচীন সমাধি, প্রাসাদসহ হাজারও ঘর-বাড়ি। ভেসে গেছে দেশটির ফসলি জমিও। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এরইমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমার বেশিরভাগ জিনিসই হারিয়ে ফেলেছি। হঠাৎ করেই বন্যা এসেছে, কিছুই উঁচু জমিতে সরিয়ে নেয়ার সময় পাইনি।’
আরও পড়ুন:
অন্য একজন বলেন, ‘এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বন্যার পানি এসেছে। সবাই চায় পানি দ্রুত নেমে যাক, যাতে আমরা আবার কৃষিকাজে ফিরতে পারি। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কেউ জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে না।’
ভিয়েতনামের ভেতর দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময়ই বাতাসের গতি কমতে শুরু করে কালমায়েগির। তবে ভারী বৃষ্টি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দেশটির বেশকিছু বিমানবন্দর এবং এক্সপ্রেসওয়ে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণ সরবরাহ এবং উদ্ধার অভিযানের জন্য ছয় হাজার ৭০০টি যানবাহন, ছয়টি বিমান এবং দুই লাখ ৬০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে ভিয়েতনাম সরকার।
তবে গতি কমে আসলেও শেষ হয়নি কালমায়েগির তাণ্ডব, দুর্বল হয়ে পশ্চিম কম্বোডিয়া এবং লাওসের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। এদিকে ফিলিপিন্সে কালমায়েগির আঘাতের পর দেশটিতে হতাহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক।





