জীবন রক্ষার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান ওষুধ। তবে সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশ , তামিলনাড়ু ও রাজস্থানে কোল্ডরিফ নামে কফ সিরাপ পানে ২২ শিশু মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর- সিডিএসসিও । গবেষণায় উঠে আসে ভয়াবহ তথ্য। ওষুধটিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি ডাইথাইলিনের উপস্থিতি পায় ভারতের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর । আর এর মাত্রারিক্ত উপস্থিতির কারণেই পাঁচ বছরের নিচের শিশুরা কিডনি বিকল হয়ে মারা গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছে সিডিএসসিও।
এবার এরই জেরে ভারতের তিনটি কাশির সিরাপ ব্যবহার ও বিতরণের ওপর সতর্কবার্তা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোল্ডরিফ ছাড়াও রেস্প্রিফেশ টিআর ও রিলাইফ নামের ভিন্ন দুটি কোম্পানির কোল্ড সিরাপ রয়েছে ডব্লিউএইচওর সতর্কের তালিকায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এ তরল ওষুধগুলোতে উচ্চ মাত্রার ডাইথাইলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা সেবনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ মৃত্যুও হতে পারে।
আরও পড়ুন:
শিশুদের কাশির সিরাপ তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ডাইথাইলিন গ্লাইকল। তবে কোনো সিরাপে যদি অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে এটি বেশি ব্যবহার করা হয় তাহলে তা বিষে পরিণত হয়। আর এটি সেবনে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, কিডনি বিকলসহ মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে বিষাক্ত কফ সিরাপ তৈরি ও বাজারজাতের অভিযোগে তামিলনাড়ুর ওষুধ কোম্পানি শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের লাইসেন্স বাতিল করেছে রাজ্যটির সরকার। সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, লাইসেন্স বাতিল হওয়ায় কোম্পানির যাবতীয় কার্যক্রম বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া, গেল সপ্তাহে বিদেশে অর্থ পাচারের জেরে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
ভারতের কফ সিরাপে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি এবারই নতুন নয়। এর আগে ২০২৩ সালে ভারতীয় এক কোম্পানি কফ সিরাপ পানে উজবেকিস্তান, ক্যামেরুন ও গাম্বিয়ায় ১৪১ শিশুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।





