প্রতিবাদী জনতাকে ঠেকাতে মরিয়া তুরস্কের পুলিশ। জল কামান, কাঁদানে গ্যাস আর পিপার স্প্রে ব্যবহার করে রাস্তা থেকে হঠানো যাচ্ছে না সরকার বিরোধীদের। গেল বুধবার (১৯ মার্চ) ইস্তানবুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের জেরে এ নিয়ে টানা দিন দেশের প্রধান সড়কের দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
আল জাজিরার তথ্য বলছে, গেল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ২০২৮ সালের নির্বাচনের প্রার্থীতার ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল ইস্তানবুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুর। কিন্তু ঠিক তার আগের দিন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সংশ্লিষ্টতা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে মদত দেয়ার অভিযোগে একরামসহ ১০৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
মেয়র একরামের দল সিএইচপি'র নেতৃত্বে শুক্রবারের প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। বিরোধীদের এই তৎপরতাকে সড়ক সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে সব ধরণের নাশকতা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
সরকার বাহাদুরের নির্দেশে এদিনও আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে পুলিশকে। সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হয় বিক্ষোভকারীদের। আটক করা হয় অর্ধশতাধিক সরকারবিরোধীকে। কোথাও কোথাও পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় ক্ষুব্ধ জনতা। সরকারের নির্দেশে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ক্রাকডাউন অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধীদল সিএইচপি প্রধান।
সিএইচপি প্রধান অজগার ওজেল বলেন, 'আপনি যদি ইস্তানবুলের মেয়রকে স্পর্শ করারও চেষ্টা করেন। ইস্তানবুলের মানুষ সেই হাত গুঁড়িয়ে দেবে। এই সমাবেশ থেকে আরও একবার ইস্তানবুলের পুলিশ প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রত্যেকটি মানুষ অক্ষত অবস্থায় বিক্ষোভে এসেছেন। আপনি কাঁদানে গ্যাস ও সাঁজোয়া যান নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। এই দায় আপনাকেই নিতে হবে।'
এএফপি জানায়, বুধবার ইস্তানবুলের মেয়রকে গ্রেপ্তারের জেরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে তুরস্কের ৩২টি প্রদেশে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আটক বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ৮৮। অনলাইন এক্টিভিটির জেরে আটক আরও অর্ধশতাধিক। আর গেল তিন দিনে আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা।