এশিয়া
বিদেশে এখন
0

বসন্ত উৎসবে এভিয়েশন খাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদী চীন

আর ক'দিন পরেই শুরু হচ্ছে চীনের সবচেয়ে বড় বসন্ত উৎসব। মূলত বসন্তের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় ক্যালেন্ডারের দিনগণনা। এই উৎসব ঘিরে দেশটিতে চলে ৪০ দিনের বিশাল উৎসব ভ্রমণ। আর অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিক যাত্রী ভ্রমণের আশা করছে এভিয়েশন খাত। যাতে দেশটির অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চীনের একেকটি শহর যেন এখন উৎসবের নগরী। বসন্ত উৎসব ও চান্দ্রবর্ষ সামনে রেখে অপরূপ সাজে সেজেছে দেশটির প্রধান শহর ও পর্যটন নগরীগুলো।

আগামী ২৯ জানুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে চীনের সবচেয়ে বড় উৎসব চান্দ্রবর্ষ বা চীনা নববর্ষ। এরইমধ্যে, বসন্ত উৎসবের নানা আনুষঙ্গিক কার্যক্রমসহ চীন জুড়ে বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। শুরু হয়ে গেছে উৎসবকেন্দ্রীক ৪০ দিনের ভ্রমণ।

২০২০ সাল থেকে করোনা মহামারীর কারণে ধুকতে বসা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে লড়াই করছে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এ দেশটি। বসন্ত উৎসব কেন্দ্র করে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও মিলছে। কারণ এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়ার আভাস দিচ্ছেন ভ্রমণ সংশ্লিষ্টরা।

সড়ক, রেলপথ কিংবা নৌরুটের চেয়ে এবার আকাশপথকেই বেছে নেবেন বেশিরভাগ পর্যটক। আর তাই যাত্রী সেবায় বিমান এবার একক আধিপত্য বিস্তার করবে। যাত্রী চাপ সামাল দিতে এরইমধ্যে নানা উদ্যোগও নিয়েছে বিমান সংস্থাগুলো।

চান্দ্রবর্ষ উদযাপনে এ বছর বেসামরিক বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৯০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা দেশটির এভিয়েশন ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করবে।

গেল বছর একই সময়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি যাত্রী ভ্রমণ করেছিল। চান্দ্রবর্ষ ঘিরে গোটা চীনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার ফ্লাইট চলাচল করবে বলেও জানিয়েছে দেশটির এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

বেইজিংয়ের দু'টি বিমানবন্দরে ৫ শতাংশ ফ্লাইট বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এমনকি আট দিনের সরকারি ছুটিতে যাত্রীদের পিক টাইমের বাইরেও ভ্রমণের আগ্রহ বেড়েছে।

চীনে ভিসা মুক্ত নীতি চালু হওয়ার পর এবং পেমেন্ট সুবিধাজনক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশিদের চীনে যাতায়াত আরও সহজ হচ্ছে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আসার সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, বসন্ত উৎসবের আগে যাত্রী চাপ লক্ষ্য করা যায় বেইজিং রেলস্টেশনে। নববর্ষের আগেই পরিবারের সান্নিধ্যে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।

একজন জানান, চীনের পরিবেশ এখন বেশ চমৎকার। পুরো বেইজিং আলোকিত। এটা খুব সুন্দর। যদিও দেশের অর্থনীতি কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। শিগগিরই সবকিছু ঠিক হওয়ার প্রত্যাশা।

অন্যদিকে চলতি মাসেই হোয়াইট হাউজে পা রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন সম্ভাব্য মার্কিন শুল্কারোপের মুখোমুখি হতে হবে চীনকে। এদিক বিবেচনায় এবারের বসন্ত উৎসব বেশ দেশটির অর্থনীতিতে ইতিবাচক সাড়া ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ