তিব্বতের পবিত্র শহর শিগাৎসে। মঙ্গলবার সকালে এই শহরেই আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে বলছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এভারেস্টে যাওয়ার উত্তরের গেটওয়ে টিঙ্গরি কাউন্টি। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের পর ৪ দশমিক ৪ মাত্রার বেশ কয়েকটি আফটার শকও অনুভূত হয়।
চীনের বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, টিঙ্গরি কাউন্টির আশপাশে চাংসুও, কুলুও আর কুয়োগুয়োতে হতাহতের পাশাপাশি অনেক ভবন ধসে পড়েছে। বড় টাউনশিপ জিগাজে আর লাৎসের অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দালাই লামার পর বৌদ্ধধর্মের দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতা পঞ্চেন লামার বাস এই জিগাজেতে।
চীনা সংবাদ মাধ্যম বলছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তবে অতিরিক্ত শীতে ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম। টিঙ্গরিতে এখন তাপমাত্রা মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিকেলের দিকে যেটা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে অবস্থিত চীনের স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চল চীনের অংশের মাউন্ট এভারেস্টের কাছে অবস্থিত। চীনা গণমাধ্যম বলছে, তিব্বতের শিগাৎসের ২০০ কিলোমিটার এলাকায় গেলো ৫ বছরে ২৯ বার ভূমিকম্প হয়েছে।
বড় ধরনের বিপর্যয়রে জন্য এই মাত্রার ভূমিকম্প যথেষ্ট। এদিকে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূকম্পনের পর নেপালে কয়েক দফা আফটার শক অনুভূত হয়েছে। ৪শ' কিলোমিটার দূরে রাজধানী কাঠমান্ডুতে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষ। ভূমিকম্প হয়েছে ভারত, বাংলাদেশ আর ভুটানেও।
হিমালয় পর্বতমালার আশপাশে ভূকম্পনের ঘটনা নিয়মিত। কিন্তু মঙ্গলবারের ভূমিকম্প গেলো ৫ বছরের মধ্যে ২শ' কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এর আগে ২০১৫ সালে নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ২০০৮ সালে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভূমিকম্পে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।