পাখির আঘাত, প্রতিকূল আবহাওয়া নাকি পাইলটের ভুল, ঠিক কী কারণে বিধ্বস্ত হলো জেজু এয়ারের ফ্লাইট ২২১৬, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবার প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে দ্বিতীয় ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার বা ব্ল্যাক বক্স যুক্তরাষ্ট্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহণ মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় উন্নত প্রযুক্তি না থাকায় নেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, ককপিটের ভয়েজ রেকর্ডারের ডেটাকে কনভার্ট করা হচ্ছে অডিও ফাইলে। যা সম্পন্ন হতে প্রয়োজন দুই দিন। তদন্তকারী দলের ধারণা, ফ্লাইট ডেটা ও ভয়েজ রেকর্ডারের সমন্বিত তথ্যের মাধ্যমে বিমান বিধ্বস্তের শেষ কয়েক মিনিটের প্রকৃত তথ্য জানা সম্ভব হবে।
পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অ্যাভিয়েশন পলিসির প্রধান জো জং ওয়ান বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। বিমানবন্দরের পাশেই অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার বা এফডিআরের তথ্যগুলো আমাদের দেশে বের করা সম্ভব না। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ডের কাছে পাঠানো হচ্ছে।’
বছরের দ্বিতীয় দিন ভোরের আলো ফোটার সঙ্গেই মুয়ান বিমানবন্দর, জেজু এয়ারের কার্যালয় ও আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন অফিসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বিমান বিধ্বস্তের পেছনে কারো অবহেলা আছে কী না, তা খুঁজে বের করার লক্ষ্যেই এই অভিযান। এর আগে বোয়িং ৭৩৭- ৮০০ মডেলের ১০১টি বিমানের সেফটি ইন্সপেকশন করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মোক বলেন, ‘বিধ্বস্ত হওয়া বোয়িংয়ের বিমানটি জনসাধারণের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই মডেলের সকল বিমান সেফটি ইন্সপেকশনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেয়া হলো। পাশাপাশি অপারেশন মেইনটেনেন্স, এডুকেশন ও ট্রেনিংও নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১৭৯ যাত্রী ও ক্রুর পরিচয় নিশ্চিত করেছে তদন্তকারী দল। নিহতদের মধ্যে দুইজন থাইল্যান্ড ও বাকিরা দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে পরিবারের কাছে।