এশিয়া
বিদেশে এখন
0

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে

ইতিহাসে প্রথমবার দ্বিতীয় ধাপে ভোট গণনা

দ্বিতীয় ধাপে ভোট গণনা শেষে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বামপন্থি নেতা অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। ৪২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ঐতিহাসিক জয় পান দিশানায়েক। আর, ৩২ শতাংশ সমর্থন পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন এসজেবি'র নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে- সোমবার শপথ নেবেন নতুন প্রেসিডেন্ট।

প্রথম ধাপের ভোট গণনায় কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ সমর্থন না পাওয়ায় ইতিহাসে প্রথমবার দ্বিতীয় ধাপে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ঘোষণা আসে আগামী ৫ বছরের জন্য লঙ্কার মসনদে বসতে যাচ্ছেন বামপন্থি নেতা অনুরা কুমারা দিশানায়েক।

৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েক নেতৃত্ব দিচ্ছেন বামপন্থি জানাথা ভিমুক্তি পিরেমুনা পার্টি-জেভিপিকে। গেল নির্বাচনে মাত্র ৩টি আসনে জয়লাভ করলেও, এবার নির্বাচনের শুরু থেকে বাম ঘরানার একজন নেতার উত্থানের বিষয়ে গুঞ্জন চলছিল দেশটিতে। ফলাফল ঘোষণার পর স্যোশাল মিডিয়া এক্স বার্তায় দিশানায়েক জানান, কয়েক দশক ধরে শ্রীলঙ্কার মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছিল, আজ তা সত্যি হয়েছে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ জনসমর্থনের ভিত্তিতে জয় পেলেন অনুরা দিশানায়েক। এর আগে, প্রথম ধাপে ভোট গণনায় দেখা যায় প্রায় ৫৬ লাখ ভোট পেয়ে ২২টি নির্বাচনী এলাকার ১৫টিতেই জয় পেয়েছেন দিশানায়েক। যেখানে মাত্র ৭টি ইলেক্টোরাল ডিস্ট্রিক্টে জয় পান বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা।

২০২২ সালে গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশে ২১ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দেশের ইতিহাসে ১৯৮২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, শনিবারের নির্বাচন ছিল দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন গোতাবায়া রাজাপাকশে। এরপর চরম অর্থনৈতিক সংকটে গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে যান তিনি। পরে দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

নতুন প্রেসিডেন্টকে অর্থনীতি স্থিতিশীল করার পাশাপাশি চরম দারিদ্র্য থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। গোতাবায়া রাজাপাকশের পদত্যাগের পর দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দ্বীপ দেশটির অর্থনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছায়। জনপ্রতি ঋণ পৌঁছায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে, মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৭০ শতাংশে। বর্তমানে দেশের ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ পরিশোধই হবে নতুন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

এএইচ