এশিয়া
বিদেশে এখন
0

জিম্মিদের মুক্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার: বিক্ষোভে ইসরাইলিরা

হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না ইসরাইলের সরকার। স্বৈরাচারী প্রক্রিয়ায় গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এমনই অভিযোগে লাখ লাখ ইসরাইলি বিক্ষোভ করেছে রাজধানী তেল আবিবে। এদিকে, ইসরাইলি হামলায় শনিবার উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি।

হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না ইসরাইলের সরকার। স্বৈরাচারী প্রক্রিয়ায় গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এমনই অভিযোগে লাখ লাখ ইসরাইলি বিক্ষোভ করেছে রাজধানী তেল আবিবে। এদিকে, ইসরাইলি হামলায় শনিবার উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি।

লাখ লাখ জনতার দখলে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব। প্রায় বছরব্যাপী যুদ্ধে গাজায় জিম্মি ইসরাইলিদের মুক্ত করতে চলছে এই বিক্ষোভ।

সাধারণ জনগণের দাবি ৯৭ জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না সরকার। উল্টো কট্টর ডানপন্থি মিত্রদের খুশি করতে বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্থবিরতা ও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার অভিযোগ নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বৈরশাসক ও জাতির শত্রু হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন অনেকে।

ইসরাইলিদের মধ্যে একজন জানান, অধিকাংশ জনগণই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। তার সরকার ইসরাইলের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না। আমরা চাই, সবাই এই সরকারকে চাপ দিয়ে জিম্মি বিনিময়ে রাজি করুক।

ইসরাইলিদের মধ্যে আরো একজন জানান, ইসরাইলে স্বৈরতন্ত্র চলে এসেছে। যা দিন দিন পরিণত হচ্ছে। দেশের জন্য খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে।

লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেও থামছে না গাজায় আগ্রাসন। শনিবার উপত্যকায় দিনভর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল গাজা সিটির একটি স্কুলে চালানো হয়েছে আকাশ থেকে হামলা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এই হামলায় নিহত হয়েছেন উপত্যকার স্বাস্থ্যকর্মীরাও। আগ্রাসন চালানো হয়েছে মধ্য ও উত্তর গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে।

ইসরাইলের বর্বোরচিত আগ্রাসনে বিপর্যস্ত গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। জ্বালানি সরবরাহ ফুরিয়ে আসায় ১০ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আল আকসা মার্টায়ার্স হাসপাতাল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই জেনারেটর দিয়ে কাজ চালিয়ে আসছিলো হাসপাতালটি।

এদিকে ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাজ্যে। লিভারপুলের এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ইতালির রোমে।