এশিয়া
বিদেশে এখন
0

আসামে পালালেন মণিপুরের গর্ভনর , কঠোর অবস্থানে নিরাপত্তা বাহিনী

নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হওয়ায় মণিপুর ছেড়ে আসাম পালালেন রাজ্যের গর্ভনর। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও রাজ্যে শান্তি ফেরাতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে নতুন করে সংঘাত ঠেকাতে গোটা মণিপুরে কঠোর অবস্থানে নিরাপত্তা বাহিনী।

আবারো নতুন মোড় নিলো মণিপুরের জাতিগত সংঘাত। এবার প্রাণভয়ে আসামে পালালেন রাজ্যের গভর্নর লক্ষণ প্রসাদ আচার্য। বুধবার ইমফাল ছেড়ে গোয়াহাটিতে পৌঁছান তিনি।

একদিন আগেই গর্ভনরের আবাসস্থল রাজভবনের অভিমুখে পদযাত্রা করে শিক্ষার্থীরা। দাবি ছিলো রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রাজ্য পুলিশ প্রধানের অপসারণ। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পর ১১ ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন গর্ভনর।

৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর আছে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে। যদিও এরই মধ্যে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। সংঘাত নিরসনের দাবি ছিলো শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে। রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্র সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা।

আন্দোলন শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, 'আমরা কী যুদ্ধ করবো নাকি পড়তে বসবো? কোনদিকে যাবো? আমাদের ছোট এই রাজ্যটিতে সংঘাত রুখতে আপনারা পদক্ষেপ নিন।'

অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি রয়েছে তিনটি জেলা- ইম্ফাল ইস্ট, ইম্ফাল ওয়েস্ট ও থৌবালে। এতে করে বন্ধ রাখা হয়েছে দোকানপাট।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। সড়কে টহল বাড়িয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার। গেল তিনদিনে আটক করা হয়েছে কমপক্ষে ৪০ বিক্ষোভকারীকে। বিভিন্ন মোড়ে ব্যারিকেড বসিয়ে সীমিত করা হচ্ছে যানচলাচল।

একবছরের বেশি সময় ধরে চলা মেইতে ও কুকি সম্প্রদায়ের সংঘাত নতুন মোড় নেয় সেপ্টেম্বরের শুরুতে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ড্রোন ও বন্দুক হামলায় কয়েকজন নিহতের পর হামলা-পাল্টা হামলায় ব্যস্ত দুই সম্প্রদায়ের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৬ মাস ধরে চলা সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ শতাধিক ব্যক্তি।