শঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে লস অ্যাঞ্জেলেস উপকূলে ফিরে এলো সান্তা অ্যানা ঝড়ো হাওয়া। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতির শক্তিশালী এই বাতাসে স্যান দিয়েগো কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল।
দমকল বাহিনীর তথ্য বলছে, লিলাক অঞ্চলে দাবানল গ্রাস করেছে ৮৫ একর এলাকা। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। শহরের বনসাল অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরো তিনটি অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়লেও দমকলকর্মীদের তৎপরতায় বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। নতুন এই দাবানলে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৬৪ হাজারের বেশি স্থাপনা। বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রধান দু'টি দাবানল। প্যালিসেডসে ৩৫ ও ইটনে ১১ শতাংশ এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো যুদ্ধ করছেন দমকলকর্মীরা। অতি শুষ্ক ঝড়ো হাওয়ার কারণে শীঘ্রই দাবানল নিভছে না বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। জারি রয়েছে রেড ফ্ল্যাগ ওয়ার্নিং ও দূষিত বায়ুর সতর্কতা।
এদিকে দাবানল মোকাবিলায় বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছেন নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, দাবানল নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমান পানি সংকট বাইডেন প্রশাসনের তৈরি। সংকট নিরসনে শিগগিরই নির্বাহী আদেশ জারির ঘোষণা দেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, 'লস অ্যাঞ্জেলেসে যথেষ্ট পরিমাণ পানি রয়েছে। যা প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিম থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও লস অ্যাঞ্জেলেসে যায়। অথচ তারা এই ভালভ বন্ধ রেখেছে। তাই শীঘ্রই এ বিষয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছি যাতে করে দ্রুত ক্যালিফোর্নিয়ায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।'
পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে রয়েছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। আগামী শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) অঙ্গরাজ্যটি সফরে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।