এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ক্ষোভের আগুন তীব্র হচ্ছে ইসরাইলে, বড় বিক্ষোভ দেখলেন নেতানিয়াহু

বন্দিবিনিময় চুক্তি দীর্ঘায়িত হওয়ার সাথে সাথে ক্ষোভের আগুন তীব্র হচ্ছে ইসরাইলে। দেশটির ইতিহাসে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখলেন প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার রাজধানী তেলআবিব, পূব জেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করে সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ।

গাজায় বন্দি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের ব্যর্থতার জেরে রাতভর উত্তাল ছিল রাজপথ।

বন্দিবিনিময় চুক্তির দাবিতে কয়েক মাস ধরে চলমান আন্দোলন রূপ নিয়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলনে। রাজধানী তেল আবিবেই শনিবার বিক্ষোভ করেন পাঁচ লাখ লাখের বেশি মানুষ। পূর্ব জেরুজালেমসহ অন্যান্য শহরে আন্দোলনে যোগ দেন আরও আড়াই লাখ বিক্ষোভকারী।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন জানান, '৭ অক্টোবর থেকেই আমি খুব চিন্তিত। এতোদিনেও ইসরাইলিদের ফিরিয়ে আনা হয়নি। বিশ্বের প্রতিটি মানুষ, ইসরাইল সরকার আর সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, কিছু করুন তাদের ফিরিয়ে আনতে। এখনই কিছু করুন।'

গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরুর বছর পূর্ণ হতে বাকি আর এক মাস। ৪১ হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানি আর পুরো অবরুদ্ধ উপত্যকা মৃত্যুপুরীতে রূপ নেয়ার ১১ মাস পার হয়ে গেলেও রক্তপাত কিংবা ধ্বংসযজ্ঞ কমেনি এতোটুকু।

অস্ত্রবিরতির বদলে বন্দিদের মুক্তির প্রতিশ্রুতি গাজার শাসকদল হামাস দিলেও বন্দিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কার্যত কোনো উদ্যোগ নেই ইসরাইল সরকারের। এরই প্রেক্ষিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখে পড়েছেন ইসরাইলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

বিক্ষোভের আয়োজক সংগঠনগুলোর দাবি, ইসরাইলের ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ছিল শনিবার।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আরো একজন বলেন, 'যতোদিন নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকবেন, ততোদিন আমরা শুধু বন্দিদের মৃতদেহ ফেরত পাবো। এই বন্দিদের জীবন তো বটেই, পুরো দেশকে বাঁচাতে হলে নেতানিয়াহুকে অপসারণের বিকল্প নেই।'

বন্দিদের জীবন আর দেশ বাঁচাবে, এমন চুক্তির বদলে আঞ্চলিক পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছেন নেতানিয়াহু। ইসরাইলকে বহুমুখী আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন তিনি, যা আরও বড় ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হবে বলেও জানান আরেকজন বিক্ষোভকারী।

৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামলার পর গাজায় ফেরার সময় ইসরাইলিসহ আড়াইশ'র বেশি মানুষকে বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। চুক্তির মাধ্যমে শতাধিক বন্দি মুক্তি পেলেও ধারণা করা হয়, এদের মধ্যে ৯৭ জন এখনও উপত্যকায় আছেন।

এফএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর