এদিকে, অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।
আলোচিত আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে ৫ দিন সময় বেধে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরমধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিবিআইকে তদন্তের সুপারিশ করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। তার ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই দেশটির কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে মামলা হস্তান্তর করলেন কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথম শুনানিতেই মামলা স্থানান্তরের ঘটনা বিরল।
হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারপতি জানান, পুলিশের তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই এবং বিভিন্ন আলামত ধ্বংসের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং অধ্যক্ষকে নতুন করে পদায়নের বিষয়টিও নজরে এনেছেন আদালত।
ইতোমধ্যে দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের ২৫ সদস্যের একটি দল কলকাতায় এসে কাজ শুরু করেছে। গোয়েন্দাদের পাশাপাশি এই দলে আছেন মেডিকেল ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তারা কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন। কথা বলেছেন মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মীদের সঙ্গে।
বুধবার স্থানীয় সময় সকালে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে কলকাতা পুলিশ। মামলার সব নথি, সাক্ষীদের বয়ান, সিসিটিভি ফুটেজসহ নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এদিকে, কর্মবিরতি থেকে এখনই সরছেন না আন্দোলনকারীরা। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান তারা। আন্দোলনের মুখে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ চালু রাখার আবেদন জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গেল বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নাইট ডিউটি পালনের সময় রাতে জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে ছিলেন ৩১ বছর বয়সী ওই নারী চিকিৎসক। পরদিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার সহকর্মীরা ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে এনে আন্দোলনে নামে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গে। আন্দোলনে নামেন অন্যান্য রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎকরাও।