পরিবেশ ও জলবায়ু , এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ভারতের কেরালায় ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে ৯৩

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে কেরালায় ভূমিধসে অন্তত ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছে শতাধিক। মৌসুমি বৃষ্টির কারণে ওয়েনাড জেলায় এই ভূমিধসের সময় অধিকাংশ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলো। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, আরও অনেক মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে। ৩০ এবং ৩১ শে জুলাই রাজ্যে শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘুমন্ত অবস্থায় ভূমিধস, কিছু বুঝে ওঠার আগেই কারও মৃত্যু হয়েছে, কেউবা ভেসে গেছেন নদীতে তীব্র পানির স্রোতে। বৃষ্টিপ্রবণ কেরালার ওয়েনাড জেলায় হঠাৎ ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে অনেক মানুষের। নদী আর মাটির স্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

এখন পর্যন্ত শতাধিক আহতকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে আড়াইশ' জনকে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে হঠাৎ এই ভূমিধস। এছাড়া ফুলে ফেঁপে উঠেছে জেলার নদী ও জলাশয়গুলো। ভেসে গেছে অনেক ঘরবাড়ি, উপড়ে পড়েছে গাছপালা। বৃষ্টি রেখে গেছে ক্ষতচিহ্ন।

দ্রুতগতিতে উদ্ধারকাজ করতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার কাজ শুরু করেছে। দুর্গত এলাকায় পাঠানো হয়েছে ২০০ সেনাসদস্য। তবে ভূমিধসের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। চুরালমালা থেকে মুন্ডাক্কি ও আতমালা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন উদ্ধারকারীরা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাসে কেরালার ৮ জেলায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ১৪ জেলার মধ্যে ১০ জেলায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল কলেজ।

কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকে আহতদের চিকিৎসা ও নিখোঁজদের উদ্ধারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালে কেরালায় বন্যায় ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় মৌসুমি বৃষ্টিপাতে বরাবরই দুর্যোগপ্রবণ কেরালার পাহাড়ি এলাকাগুলো। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমি এই বৃষ্টিপাত দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ২০০ কোটি মানুষের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, কৃষিকাজ আর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জরুরি।