সোনালি রঙে মোড়ানো নজরকাড়া মন্দির, মন জুড়ানো সমুদ্র সৈকত আর মনোরম সবুজে ঘেরা পাহাড় ভ্রমণের স্বাদ শতভাগ পেতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবছর কোটি কোটি পর্যটক পা রাখেন থাইল্যান্ডে।
করোনা পরবর্তী অবস্থা, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ ও টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়ে পর্যটনপ্রিয় থাইল্যান্ড। আগামী একবছরে পর্যটন খাত থেকে রাজস্ব আয় অন্তত সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির।
লক্ষ্য অর্জনে নিচ্ছে একের পর এক ব্যবস্থা। গেল জুনেই হোটেল মালিকদের পরিচালনা ফি মওকুফের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ায় ব্যাংকক। বিদেশি পর্যটকদের জন্য প্রস্তাবিত ট্যুরিজম ফিও বাতিল ঘোষণা করা হয় সেসময়।
এরই অংশ হিসেবে সবশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ভিসাবিহীন প্রবেশাধিকারের আওতা বাড়ালো ব্যাংকক। পর্যটন খাতে মন্দাভাব কাটাতে আগে ৫৭টি দেশের পাসপোর্টধারীরা এ সুবিধা পেলেও এখন তা বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে ৯৩ তে।
চলতি বছর থাইল্যান্ড ভ্রমণ করা পর্যটকদের বেশিরভাগই চীন, মালয়েশিয়া ও ভারতের নাগরিক। ভিসা ছাড়াই থাইল্যান্ডে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন যেসব দেশের নাগরিকরা, সে তালিকায় ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ থাকলেও নেই বাংলাদেশের নাম।
সোমবার থেকে কার্যকর নতুন স্কিমের আওতায় পর্যটকরা ৬০ দিন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে অবস্থান করতে পারবেন। একই দিন থেকে রিমোট ওয়ার্কার অর্থাৎ বিকল্প কর্মক্ষেত্র থেকে যারা কাজ করেন, তাদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি ভিসা চালু করেছে থাই প্রশাসন। এই ভিসার আওতায় প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১৮০ দিন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে অবস্থানের অনুমতি পাবেন পর্যটকরা।
এছাড়া থাইল্যান্ড থেকে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি নেয়া শিক্ষার্থীরাও স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর এক বছর পর্যন্ত দেশটিতে থেকে ভ্রমণ বা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারবেন।
থাই অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ পর্যটন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে প্রবেশ করেছে পৌনে দুই কোটি বিদেশি পর্যটক। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি হলেও করোনা পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা ম্লান। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এ খাতে দুই হাজার ৩৬০ কোটি ডলার রাজস্ব আয় করেছে ব্যাংকক, যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকটা কম।