চলতি সপ্তাহে চীনের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে রেকর্ড ছুঁয়েছে তাপমাত্রার পারদ। হেনান, শ্যানডং, শাঞ্জি, সিচুয়ান, হুবেই প্রদেশসহ উত্তরের অঞ্চলগুলোতে প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। হেনানে সম্প্রতি তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। গরমের তীব্রতায় বেইজিংয়ে সোমবার থেকে জারি আছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবহাওয়া সতর্কতা। সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
গরমের আঁচ থেকে বাঁচতে সূর্যের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের। অতিবেগুনী রশ্মি প্রতিরোধী ছাতা নিয়ে, তাপ এড়াতে টুপি-মাস্ক পরে বের হচ্ছেন ঘরের বাইরে।
স্থানীয়রা বলেন, বেইজিংয়ের যে আবহাওয়া, তাতে আমাদের সামনে দু'টি পথ। হয় রোদে পুড়তে হবে। না হয় এই এতোকিছু পরে দম আটকে আসতে চাইবে। যাদের কাজের জন্য বাইরে বের হতে হয়, তাদের স্বস্তি নিশ্চিতে কিছু ব্যবস্থা নেয়া উচিত। না হলে তাদের বাইরের কাজ কমিয়ে দেয়া উচিত।
একই দেশে দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে চিত্র একেবারেই ভিন্ন। অতিবৃষ্টি, বন্যা আর ভূমিধসে বাড়ছে প্রাণহানি। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭২ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করেছে ফুজিয়ান। গুয়াংদং, ঝেজিয়াংসহ বিভিন্ন প্রদেশ, গুয়াঞ্জি অঞ্চলে ক'দিন ধরেই চলছে টানা বৃষ্টি। বন্যার তীব্র স্রোতে ভেঙে পড়েছে সেতু। লংইয়ান শহরে মুষলধারে বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে প্রায় ৪০০ ঘর। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অসংখ্য গ্রাম।
বন্যায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২২০০ একর কৃষিজমি। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ছয় কোটি ডলার। অন্যদিকে তীব্র খরার মধ্যে ফসল বাঁচাতে যুদ্ধ করছে উত্তরের কৃষকরা।