পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৪ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে সাত দশমিক নয় ডিগ্রি বেশি। পানাগড়ে একইদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়েও নয় ডিগ্রি বেশি।
শনিবারও রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের প্রচণ্ড তাপ আর পশ্চিম দিক থেকে আসা শুষ্ক বাতাসের কারণে দক্ষিণ ও পশ্চিমের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক রকমের বেশি। হিট স্ট্রোকের আশঙ্কায় অনেকেই দিনের বেলা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না, সবচেয়ে অসহায় অবস্থা নিম্নবিত্ত মানুষের।
এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘কঠিন সমস্যায় আছি। গরমের জন্য দোকানে ক্রেতা নেই। সন্ধ্যার সময়ও মাত্র দুই-চারশ' টাকার পণ্য বিক্রি হয়। সবারই গরমে কষ্ট হচ্ছে।
এক রিকশাচালক বলেন, ‘রিকশা টানার সময় ভীষণ গরম লাগে। কিন্তু গরিব মানুষের আর কী করার আছে। পেটে খাবার দিতে হলে তো কাজ করতেই হবে।’
রাজ্যের সাত জেলায় সর্বোচ্চ আবহাওয়া সতর্কতা হিসেবে জারি আছে রেড অ্যালার্ট। কলকাতাসহ ১২টি জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি আছে। অন্তত মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের তীব্রতা এমনই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
স্থানীয়রা বলেন, ‘এক কথায় সহ্যের বাইরে গরম পড়ছে এবার। গত ৫০ বছরে এমন গরম আর দেখিনি। সব পুড়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।
প্রতি বছরের তুলনায় এবার এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে তুলনামূলক বেশি তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে ভারতে, আভাস আবহাওয়া বিভাগের। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী ওড়িশাতেও রেড অ্যালার্ট চলছে। কেরালা, বিহার, ঝাড়খান্ড, উত্তর প্রদেশসহ অন্য রাজ্যেও চলছে দাবদাহ।