বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে শুরু হয়েছে ভোটযুদ্ধ। ৭ দফায় ৪৭ দিনের ভোটপর্বে ৫৪৩টি আসনের প্রতিনিধি নির্বচনে ভোটার প্রায় ১০০ কোটি। সবশেষ জনমত জরিপে এগিয়ে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আর টানা তৃতীয়বারের মতো এই জয় পেতে দেদারসে অর্থ খরচ করছে শাসক দলটি।
নির্বাচন আসলেই জনসংযোগের জন্য ভারতে বেড়ে যায় হেলিকপ্টারের চাহিদা। বিজনেস এয়ারক্রাফট অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার হেলিকপ্টার ভাড়ার চাহিদা বেড়েছে এক-তৃতীয়াংশ। দেশটিতে নিবন্ধিত বেসরকারি হেলিকপ্টার আছে প্রায় ২৫০টি। সংগঠনটি জানিয়েছে, মোট হেলিকপ্টারের ৬০ শতাংশের বেশি ভাড়া নিয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
বিজেপির বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে হেলিকপ্টার ও চার্টাড বিমান যোগে জনসংযোগের জন্য বিজেপি খরচ করেছে প্রায় ৮০ কোটি রুপি। অন্যদিকে এর চারভাগের মাত্র একভাগ অর্থ খরচ করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস।
তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ইন্টারনেটকে টার্গেট করেছে বিজেপির আইটি সেল। চলতি বছর ভারতের ১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের জন্য গুগল আয় করে ১৩৮ কোটি রুপি। এর এক-তৃতীয়াংশই এসেছে বিজেপির কাছ থেকে। অন্যদিকে কংগ্রেসের খরচের পরিমাণ ছিল মাত্র ১১ কোটি রুপি।
নির্বাচনের বছর ফেসবুকেও ছিল বিজেপির আধিপত্য। মার্ক জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠানটিতে বিজ্ঞাপনের জন্য নরেন্দ্র মোদির দল ব্যয় করে ৮ কোটি ১০ লাখ রুপি। অন্যদিকে মাত্র আড়াই কোটি রুপির কিছু বেশি অর্থ খরচ করেছে রাহুল গান্ধীর দল, যা ভোটযুদ্ধে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে তৈরি করেছে বড় ব্যবধান।