গত শনিবার (৩০ মার্চ) এসব নামের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে চীনের বেসামরিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে অরুণাচল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার নিজেদের দেয়া নামের চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করল চীন। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আগামী ১ মে থেকে নতুন এ নাম কার্যকর হবে।
চীনের বেসামরিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালে অরুণাচলের বিভিন্ন এলাকার চীনা নামের প্রথম তালিকা প্রকাশ করে। প্রথম তালিকায় ছয়টি এলাকার নাম ছিল। এরপর ২০২১ সালে ১৫টি স্থানের নামকরণ করে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে তারা। ২০২৩ সালে প্রকাশিত তালিকায় ছিল ১১টি স্থানের নাম।
পারমাণবিক শক্তিধর চীন ও ভারতের মধ্যে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। তবে সীমান্তের বিভিন্ন অংশ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালে সীমান্ত নিয়ে সংঘর্ষে ভারতের ২০ ও চীনের চার সেনা নিহত হয়।
চীনের নামকরণের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে ভারত বলেছে, অরুণাচল তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চীনের 'উদ্ভাবিত' নাম এ বাস্তবতা পাল্টাতে পারবে না।
অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চীন ও ভারতের বিরোধ দীর্ঘদিনের। চীনের দাবি, অরুণাচল দক্ষিণ তিব্বতেরই একটা অংশ। এ কারণে অরুণাচলের কোনো ভারতীয় নাগরিক চীনের ভিসার আবেদন করলে তাদের পাসপোর্টে ছাপ না মেরে 'স্টেপলড ভিসা' দেয় বেইজিং। এ ভিসা দেয়ার মাধ্যমে চীন বোঝাতে চায়, অরুণাচলের বাসিন্দাদের তারা ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য করে না। অরুণাচলকে চীন ডাকে 'জাংনান' নামে।