বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাজনৈতিক বিভাজন, অর্থনৈতিক সংকট ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। অতীতে মধ্যরাতের মধ্যেই নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেলেও এবারের চিত্র একেবারেই আলাদা। ভোটের পরদিন দুপুর পর্যন্ত হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে কমিশন।
পাকিস্তান ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের চিত্র উঠে এসেছে। পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার গোহর দাবি করেছেন, ১৫০টির বেশি আসনে ইমরান খানের দল এগিয়ে আছে। অন্যদিকে পিটিআই-এর প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করছে বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি।
এদিকে মুসলিম লীগ নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ নিজ নিজ আসনে জয় পেলেও খাইবার পাখতুন খোয়ার একটি আসনে বড় ব্যবধানে হেরে গেছেন নওয়াজ শরীফ। তবে পাঞ্জাবের লাহোরের আরেকটি আসনে লড়ছেন নওয়াজ শরীফ।
সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বী পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ইয়াসমিন রশিদের সঙ্গে ধুঁকছেন তিনি। নওয়াজের হেরে যাওয়ার খবরটি দলের জন্য বড় বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ তার দল নির্বাচনে জয় পেলে নওয়াজ শরীফ হতেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
পিটিআই'র অভিযোগ, তাদের সমর্থন দেয়া প্রার্থীদের জয়ী হতে দেখে নির্বাচনের ফল ঘোষণায় দেরি করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে জনগণের রায় বদলে ফেলার অপচেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না বলে দলটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এদিকে ফলাফল ঘোষণায় দেরির জন্য নির্বাচনি নিরাপত্তায় মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় একই কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের ১৬তম জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৩৪টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। তবে এবার কোন দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।