আজ (শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামীর সদস্য শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্রি, ফেয়ার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের কিছু অর্গান সংস্কার করা প্রয়োজন। পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, জুডিশিয়ালসহ ৫-৭টা দপ্তরের সংস্কার করার পর যখন জাতি বুঝতে পারবে এখন নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়া প্রয়োজন, তখন নির্বাচন হতে পারে। সেই সময়টা বেশি লাগার কথা নয়। ডিসেম্বরের পর নির্বাচনি রোড ম্যাপ ঘোষণা করে ২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন শেষ করা যেতে পারে।’
বর্তমান সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে কোনো দল ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে না। যারা রাজনীতি চর্চা করে তাদের মধ্যে একটি সরকারি দল ও অপরটি হচ্ছে বিরোধী দল। সাইকেলের যেমন দুটি চাকা না থাকলে চলে না, ঠিক তেমনি সরকার ও বিরোধী দল না থাকলে রাষ্ট্র চলে না। সমালোচনা রাষ্ট্রের একটি সৌন্দর্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরাও সরকারকে বলি আপনাদের প্রশাসনের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিদায় করুন। এছাড়াও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণসহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিপ্লবের পরেই বর্তমান সরকারের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এসেছে। পালটা ক্যু, জুডিশিয়াল ক্যু, আনসার কাণ্ড, প্রশাসনের অস্থিরতা, হিন্দু ভাইদের নিয়ে রাজনীতি। শেখ হাসিনা দিল্লি বসে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ সবই সরকার মোকাবেলা করেছে। এগুলো সামনে না আসলে সরকার হয়তো আরো অনেক কিছু সংস্কারে ত্বরান্বিত হতে পারতো। সরকার যা করছে তাতে আমরা হ্যাপি।’