এশিয়া
বিদেশে এখন
0

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন কাল, ভোটার ১২ কোটি ৮০ লাখ

সরকার গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে তরুণরা

বিশ্বের ৫ম জনবহুল দেশ পাকিস্তানের আয়তন প্রায় ৮ লাখ বর্গকিলোমিটার। প্রায় ৩০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে সম্প্রতি চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে দেশটি। দুই বছরের ব্যবধানে মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির মান অর্ধেকের বেশি কমেছে। অর্থনীতির গতি ফেরাতে ৯ মাসের জন্য আইএমএফের কাছ থেকে ধার করে ৩০০ কোটি ডলার। অর্থনৈতিক দুর্দশার সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সশস্ত্র দলগুলোর হামলা দেশটিকে আরও বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

এমন সংকট মুহূর্তে দেশটিতে ১৬তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যেখানে নির্বাচনের জন্য প্রায় সাড়ে ৮ লাখ ডলার খরচ ধরা হয়েছে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের ক্ষমতা ছিল সামরিক বাহিনীর হাতে। সরকারি বাজেটের সাড়ে ১২ শতাংশ এখনও তাদের জন্য বরাদ্দ।

২৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। যাদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ ভোটারের বয়স ৩৫ বছরের কম। নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ পুরুষ এবং বাকি ৪৬ শতাংশ নারী। ২৬৬টি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ৫ হাজারের বেশি প্রার্থী।

পাকিস্তানের ১৬৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই দলের নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যে কারণে পিটিআই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে এবার রাজনৈতিক নানা অস্থিরতায় ভোটার সংখ্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইমরান খানকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে সব ধরনের ম্যাকানিজম করে রেখেছেন নওয়াজ শরীফ। নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না নতুন সরকারকে দেশটির অর্থনীতির সংস্কারে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

উড্রো উইলসনের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, পাকিস্তানকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় বড় পদক্ষেপ নেয়া নতুন সরকারের পক্ষে কঠিন হবে। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল এবং টেকসই করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে বাধা হয়ে দাঁড়াবে রাজনৈতিক অস্থিরতা। নতুন সরকার সাধারণ জনগণের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে সমর্থন পাবে না।

অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও মতাদর্শের পার্থক্য আছে। প্রধান দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাব আছে এমন সব ছোট ছোট দল। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই তরুণ।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর