এশিয়া
বিদেশে এখন
0

নবায়নযোগ্য শক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে চীন

২০২৩ সালে নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা ৬.৪ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে চীন। ২০২৪ সালে এই খাতকে আরও ৪ শতাংশ সম্প্রসারণের পথে এগুচ্ছে দেশটি। এরমধ্য দিয়ে শক্তি উৎপাদনে কয়লা নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে বেইজিং।

ঘর থেকে শুরু করে শিল্প-কলকারখানায় মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি নির্ভরতা দিন দিন বাড়ছে। যার কারণে জ্বালানির চাহিদাও আকাশছোঁয়া। তবে জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির যুগ থেকে বেরিয়ে আসতে নানাভাবে চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারও বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।

আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)-র তথ্য বলছে, গতবছর বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এরমধ্য দিয়ে ৫১০ গিগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। আর জ্বালানির এই রূপান্তর যাত্রায় সবচেয়ে এগিয়ে চীন। ইতোমধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপনে পৌঁছেছে রেকর্ড উচ্চতায়।

চায়না ইলেকট্রিসিটি কাউন্সিলের সবশেষ তথ্য বলছে, চীনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ শিল্পকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়েছে। বায়ু ও সূর্যের আলো থেকে ২০২২ সালে চীনের জ্বালানি শক্তি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৭৬ কোটি কিলোওয়াট। ২০২৩ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫ কোটি কিলোওয়াটে। অর্থাৎ সামগ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন সক্ষমতায় ২০২২ সালের তুলনা ২০২৩ সালে ৬.৪ শতাংশ বেড়ে ৩৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

চায়না ইলেকট্রিসিটি কাউন্সিলের মহাসচিব হাও ইংজি বলেন, '২০২৩ সালে চীনের শক্তি এবং বিদ্যুৎ শিল্পের নতুন সরবরাহ ব্যবস্থার নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়েছে। শক্তি কাঠামোটির প্রাথমিক উৎস হিসেবে আগে কয়লার উপর নির্ভর করতে হতো। তবে তা এখন সবুজ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ উৎসে রূপান্তর করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এই রূপান্তর অগ্রগতি ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। যা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিকে ৫০ শতাংশের উপরে উন্নীত করেছে।'

২০২৪ সালের শেষ নাগাদ চীনের নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা প্রায় ১৩০ কোটি কিলোওয়াটে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা সামগ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন সক্ষমতার ৪০ শতাংশ।

এরমধ্য দিয়ে প্রথমবার কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খাতকে ছাড়িয়ে যাবে বেইজিংয়ের নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস।

এসএস