এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ধ্বংসস্তুপ জাপানের পশ্চিম উপকূল, ভূমিধসের পূর্বাভাস

যতদূর চোখ যায়, ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে জাপানের পশ্চিম উপকূল। ইশাকাওয়ার নানাও শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভয়াবহভাবে।

কোথাও গাড়ির ওপর দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে বাড়ি, কোথাও ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট। তীব্র শীতে এখনও বিদ্যুতবিচ্ছিন্ন হাজার হাজার মানুষ।

জাপানে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২। আফটার শকের কারণে ইশাকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত, ভূমিধসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ইশাকাওয়ার সুজু শহরের ৯০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। সাধারণ মানুষকে সহায়তায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে দেশটির সরকার।

সাধারণ মানুষ ভিড় করছেন জ্বালানির জন্য। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোটো উপদ্বীপ আর ওয়াজিমা শহরও। অনেক ভবন ধসে পড়েছে ভূমিকম্পের অনেক পরে।

জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইওশিমাসা হায়াশি বলেন, অনেক এলাকা থেকে জরুরি ফোন পাচ্ছি। অনেক স্থানে এখন ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে। এখনই বিস্তারিত দিতে পারছি না। ধসে পড়া ভবনের নিচে কেউ আটকা পড়লো কিনা সেটাও দেখছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো।

এদিকে পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ। জাপানের মধ্যাঞ্চলে নোটো উপদ্বীপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে ৩ হাজার উদ্ধারকর্মী। হেলিকপ্টার দিয়ে শনাক্ত করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে আগুন আর ধ্বংসস্তুপ। দেশটির সেনাবাহিনী ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া সাধারণ মানুষকে। অনেকেই ভুলতে পারছেন না ভয়াবহ স্মৃতি। সুজু শহরে কোন ভবনই পুরোপুরি দাঁড়ানো অবস্থায় নেই।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ট্রমায় চলে গেছি। একটু যদি নড়াচড়া হয়, ভয়ে কাঁপতে থাকি। শুধু আমার না, সবার একই অবস্থা।

আরেক স্থানীয় বলেন, এখন শুধু ধৈর্য্য ধরতে হবে। এটাই আমাদের পরীক্ষা। দুই, তিন বা ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। কিন্তু এত ভয়াবহ ভূমিকম্প এই প্রথম।

সোমবারের ভূমিকম্পের পর আরও অনেকবার আফটার শক হয় জাপানে। মূলত বিশ্বের টেকটনিক প্লেটগুলোর মধ্যে জাপানের নিচে অবস্থিত ৪টি। যে কারণে অনেক বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ জাপান। প্রতিবছরই ছোট বড় শত শত ভূমিকম্প হয় এই দেশে। কিন্তু সোমবারের ভূমিকম্প ছিলো অনেক বেশি শক্তিশালী।