ভারত ছাড়ার আগে তিনি হায়দ্রাবাদে বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ বলছে, উভয় হামলাকারী গেলমাসে ফিলিপাইনে গিয়েছিলেন।
সাজিদ আকরাম, অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই সমুদ্র সৈকতের অন্যতম হামলাকারী। হামলার পর পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে পাকিস্তানি নাগরিক বলে উল্লেখ করা হলেও, এবার প্রকাশ হলো সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য।
তেলেঙ্গানা পুলিশের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন, ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম ভারতীয় পাসপোর্টধারী, ছিলেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা। প্রায় তিন দশক আগে, ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। ভারত ছাড়ার আগে বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
আকরাম প্রায় ২৭ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছিলেন। সেই সময়ে হায়দরাবাদে পরিবারের সাথে তার খুব কম যোগাযোগ ছিলো। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মতে, পারিবারিক বিরোধের কারণে অনেক বছর আগেই আত্মীয়স্বজনদের সাথে আকরামের সম্পর্ক ভেঙে যায়।
এমনকি ২০১৭ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর আকরাম তার জানাজায়ও যোগ দেননি। তবে ১৯৯৮ সালের পর সাজিদ আকরাম ছয়বার ভারত সফর করেছেন, মূলত পারিবারিক কারণেই।
অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসার পর, আকরাম ভেনেরা গ্রোসো নামে এক ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত নারীকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুটি সন্তান, যাদের মধ্যে ছেলে নাভিদ আকরাম ছিলেন অন্যতম হামলাকারী। আকরাম সবশেষ ২০২২ সালে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় পাসপোর্টধারী হলেও তার সন্তানরা অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন, বিধায় তারা ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী বাবা ও ছেলে গত মাসে ফিলিপাইনে গিয়েছিলেন। ভ্রমণের সময় সাজিদের ছিল ভারতীয় পাসপোর্ট এবং ছেলে নাভিদের ছিলো অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট। তারা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত ছিল কি না বা তারা ওই দেশে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলো কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
রোববার সিডনির বন্ডাই সমুদ্র সৈকতে ইহুদিদের এক উৎসব উদযাপনের সময় বন্দুক হামলায় ১৫ জন নিহত হন। সন্দেহভাজন সাজিদ আকরাম হামলার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার ছেলে নাভিদ আকরাম পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।





