লন্ডনে হারানো জিনিসের নিরাপদ ভরসা ডিজিটাল সংরক্ষণ কেন্দ্র

লস্ট প্রোপারটি ডিপার্টমেন্ট
লস্ট প্রোপারটি ডিপার্টমেন্ট | ছবি: সংগৃহীত
0

মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনা লন্ডনের গণপরিবহন ব্যবহারকারীদের হারানো জিনিসপত্র সংরক্ষণে রয়েছে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। লন্ডন ফর ট্রান্সপোর্টের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে যাত্রীদের হারানো জিনিস। কেউ মালিকানা দাবি করলে ডেটা মিলিয়ে ফেরত দেয়া হয় এগুলো। এছাড়া, তিন মাস পেরোলে জিনিসগুলোকে নিলাম কিংবা দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।

শিশুদের খেলনা, মোবাইল ফোন, হাতের ঘড়ি থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য নানা জিনিস। সবকিছুই সুন্দর ও পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে তাকে। দেখে মনে হবে কোনো বিপণিবিতান এটি।

কিন্তু প্রকৃত চিত্র হলো, লন্ডনে গণপরিবহনগুলোতে প্রতিদিন যাতায়াত করা যাত্রীদের ভুলে ফেলে রাখা জিনিসগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখা হয় গুদামঘরে। লন্ডন ফর ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এই অফিসটি হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্রগুলোকে তিন মাস ধরে সংরক্ষণ করে। এরপর কেউ এগুলোর মালিকানা দাবি না করলে, কর্তৃপক্ষ এগুলোকে নিলামে তুলে কিংবা কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করে।

আরও পড়ুন:

দ্য লস্ট প্রোপারটি ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার ডায়ান কোয়ে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন যে জিনিসপত্রগুলো পাই এগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালিকাবদ্ধ করি। আমাদের কাছে এগুলোর ডেটা থাকে। যদি কেউ হারানো জিনিসগুলো সম্পর্কে খোঁজ চায়, তাহলে আমরা প্রাপ্ত ডেটার সঙ্গে ম্যাচিংয়ের চেষ্টা করি।’

অনেক সময় যাত্রীরা রান্না করা খাবার ফেলে যায় বলেও জানান লস্ট প্রোপারটি ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার।

ডায়ান কোয়ে বলেন, ‘একবার আমাদের এক স্টাফ একটি ব্যাগের মধ্য থেকে রান্না করা ব্যাঙ্গের তরকারি পায়। আমরা খাবারটি সংরক্ষণ করিনি। সাধারণত পচনশীল খাবারের ক্ষেত্রে এগুলো যেখান থেকে পাই, সেখানেই ফেলে দেয়া হয়।’

প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০০০ জিনিসপত্র গুদাম ঘরটিতে জমা হয়। শুধু লন্ডন নয়, ইউরোপের সবচেয়ে বড় হারানো সম্পত্তি সংরক্ষণের গুদাম এটি। অফিসটি পরিচালনার জন্য ৪৫ জন কর্মী রয়েছে।

সেজু