গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার ইউক্রেন যুদ্ধবন্ধে রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়েই ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেছেন ট্রাম্প।
কি আছে ট্রাম্পের পরিকল্পনায়? মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব মেনে নিলে কেমন পরিণতি অপেক্ষা করছে ইউক্রেনে। এসব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
ট্রাম্পের ২৮ দফা পরিকল্পনা নিয়ে বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যম অ্যাক্সিওস ও ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফাইন্যানশিয়াল টাইমস। এরপর রয়টার্স, আল-জাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব অনুসারে, অস্ত্র জমা দেয়াসহ বেশকিছু পুর্বাঞ্চলের কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুতিনের কাছে ছাড়তে হবে কিয়েভকে। তাহলেই যুদ্ধ পরবর্তী ইউক্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ওয়াশিংটন। আরও দাবি করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে ট্রাম্পের পরিকল্পনার ধারণা দেয়া হয়েছে ইউক্রেনকে। যার খসড়া তৈরিতে হাজির ছিল রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধিরাও।
বুধবার এক্স বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের বাস্তাবসম্মত সমাধান প্রয়োজন। আভাস দিয়েছে এ লক্ষ্যে কাঝ করছে ওয়াশিংটন। যদিও ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে নীরব রুশ প্রেসিডেন্টের অফিস। আর প্রস্তাব পর্যালোচনা করার বার্তা এসেছে ইউক্রেন থেকে।
আরও পড়ুন:
২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট কোনো পয়েন্ট উঠে আসেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। তবে দাবি করা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব অনুযায়ী, ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ সামগ্রিকভাবে চলে যাবে রাশিয়ার দখলে। অর্থাৎ ২০১৪ সালে মস্কো দখল করা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত দোনবাসের দাবি ছাড়তে হবে কিয়েভকে। প্রত্যাহার করতে হবে ইউক্রেনীয় সেনাদের। সেনাবাহিনীর সক্ষমতা কাটছাঁটের শর্তের মধ্যে আছে দূর পাল্লার মিসাইলের সংখ্যা কমিয়ে আনাও।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখলে ভয়াবহ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে ইউক্রেন। যুদ্ধ কবলিত একটি দেশের সেনাবাহিনীকে সক্ষমতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর শর্ত দেয়া কোনো ভাবেই বাস্তবসম্মত নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে আল জাজিরা।
গেল অক্টোবরে ট্রাম্প প্রস্তাব দেন, যে সব পয়েন্টে কিয়েভ-মস্কোর মধ্যে সরাসরি সংঘাত হচ্ছে তা থামানো উচিৎ। গেল সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন ইইউ ও ন্যাটোর সহায়তায় মস্কো দখলকৃত ভূখণ্ড ফিরে পাবে ইউক্রেন। আগস্টে বলেন, যুদ্ধ বন্ধে দখলকৃত ভূখণ্ড ছাড় দিতে হবে ইউক্রেন-রাশিয়া উভয়পক্ষকেই।
আর গেল ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে ডেকে এনে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে চূড়ান্ত অপমান করেছিলেন ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অবদান নাকি যথাযথভাবে স্বীকার করেননি জেলেনস্কি। তবে সবচেয়ে আজব স্ট্যান্ড নিয়েছিলেন গেল বছর নির্বাচনী প্রচারে সময়। বলেছিলেন, পুতিন তার খুবই ভালো বন্ধু। ক্ষমতায় গেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ থামাবেন তিনি।





