জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের এবারের আসরে যোগ দেবেন না বলে চলতি মাসের শুরুতেই জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে তিনি জানান, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দক্ষিণ আফ্রিকার আয়োজনে অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধি।
ট্রাম্পের অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের হত্যা ও নির্যাতনের পাশাপাশি তাদের জমি দখল করা হচ্ছে, যা চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘন। যদিও ট্রাম্পের এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।
এবার ট্রাম্পের সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিলো হোয়াইট হাউজ। প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত অটল যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘সিদ্ধান্তের কোনও পরিবর্তন হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে না যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যা ট্রাম্প ও তার টিম পছন্দ করছেন না।’
এদিকে প্রথমবারের মতো জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা। সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত জোহানেসবার্গ শহর।
এরইমধ্যে সেখানে জড়ো হতে শুরু করেছেন জি-টোয়েন্টির সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা। আগামী ২২ ও ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জি-টোয়েন্টির এবারের আসরের আলোচনা। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য, সংহতি, সমতা এবং টেকসই উন্নয়ন জোরদার করা।
স্থানীয় সময় গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর) বিকেলে জোহানেসবার্গে পৌঁছান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেজ। একইদিন সন্ধ্যায় সম্মেলনস্থলে পৌঁছান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম। প্রতিনিধি দল নিয়ে পৌঁছেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। দুই দিনের সম্মেলনে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।





