বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবে বিপাকে ফ্রান্স; মারা যাচ্ছে পরিযায়ী পাখি

হাসের খামার
হাসের খামার | ছবি: রয়টার্স
0

এবার বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবে বিপাকে ফ্রান্স। মারা যাচ্ছে পরিযায়ী পাখি। হুমকির মুখে মুরগির খামার। বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় সারস নিধনে মোতায়েন করা হয়েছে ব্রিগেড ও কৃষকদল।

বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা। একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ, যা প্রধানত পাখিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এটি পোলট্রি শিল্পের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। কখনো কখনো মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীও সংক্রমিত হয় এই ভাইরাসে।

এবার এই ফ্লুর কারণে বিপাকে পড়েছে ফ্রান্স। দেশটির পরিযায়ী পাখির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। যার ফলে মারা যাচ্ছে শত শত সারস পাখি। সমুদ্রের তীরসহ বিভিন্ন স্থানে মরে পরে থাকছে এই পাখি। যার মাধ্যমে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। দূষণ ও ক্ষতি এড়াতে কাজ করছে মোবাইল ব্রিগেড ও কৃষকরা।

ফরাসি জীব-বৈচিত্র্য অফিস ওএফবি জানায়, দেশটির গ্র্যান্ড এস্ট অঞ্চলে এরইমধ্যে মারা গেছে প্রায় ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ সারস। বিভিন্ন স্থান থেকে সরানো হয়েছে ৫,০০০ পাখির মৃতদেহ। শীত মৌসুম অব্যাহত থাকায় পরিযায়ী অন্যান্য পাখির মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় শঙ্কা করছেন তারা।

একজন জানান, গেল ২০ অক্টোবর থেকে আমরা বার্ড ফ্লুর সংক্রমণের খবর পাই। যা মূলত সারস পাখিকে প্রভাবিত করে। ভাইরাসের কারণে অনেক সারস মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পর্যটকদের জন্য বলবো, আপনারা যদি ঘাসের উপর হাঁটেন, তাহলে জুতা ভালো করে ধুয়ে নিন। সতর্কতা হিসেবে সাবান এবং গরম পানি ব্যবহার করবেন।

সংক্রমিত পাখিগুলোকে পশু চিকিৎসা পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা ভাইরাস অনুসন্ধানের জন্য বিশ্লেষণ করবো, যা নিশ্চিত করবে যে এই অঞ্চলে এখনও ভাইরাস সক্রিয় আছে কিনা।

শুধু পরিযায়ী পাখিই নয়, বার্ড ফ্লু আতঙ্কে দেশটির পোল্ট্রি খামারিরা। বিভিন্ন খামারে জারি করা হয়েছে সর্তকতা। আরেকজন জানান, হঠাৎ করেই খামারে মুরগির স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হয়। তখনই আমি আবিষ্কার করি যে অর্ধেক মুরগি মারা গেছে।

প্রতিদিন খামারে মুরগি মারা যাচ্ছিল। আমার খামারে প্রায় ৩,৮০০ থেকে প্রায় ৩,৯০০ মুরগি মারা গেছে। এখন শুধু ২০০-৩০০ মুরগি অবশিষ্ট রয়েছে।

শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখির অভায়শ্রম হিসেবে খ্যাত ফ্রান্সের ফ্রান্সের লেক ডের অঞ্চল। প্রতিবছর অঞ্চলটিতে আসে প্রায় ১ লাখ সারস। এবার বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবে প্রায় চার মাস ধরে বন্ধ দেশটির বিভিন্ন খামার। ডিম উৎপাদন বন্ধ থাকায় এসব খামারে ক্ষতির অঙ্ক প্রায় প্রায় ৩৫ হাজার ইউরো। ফ্রান্স বার্ড ফ্লুর বিস্তার রোধে গেল ২১ অক্টোবর থেকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার খামারে জারি করা হয়েছে সর্তকতা।

এএইচ