দেড় দিনে তিন দেশে হামলা-বিস্ফোরণ; বাড়ছে সীমান্তে সন্ত্রাসী তৎপরতা

দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতার ছায়া

দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী তিন দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা | ছবি: এখন টিভি
0

মাত্র দেড় দিনে ধারাবাহিক হামলা-বিস্ফোরণের কবলে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী তিন দেশ। নিরাপত্তা পরিস্থিতির আচমকা এমন অবনতি কি বার্তা দিচ্ছে এ অঞ্চলকে? ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অসমর্থিত সূত্রের দাবি, বাংলাদেশ-নেপাল সংলগ্ন ভারত সীমান্তে ক্রমশ তৎপরতা বাড়ছে সন্ত্রাসীদের। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই ঘটে দিল্লিতে বিস্ফোরণ-ইসলামাবাদে হামলার ঘটনা।

গত সোমবার দিনভর একাধিক এলাকায় কমপক্ষে পাঁচটি বোমা হামলা ও দু’টি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় সন্ধ্যা নাগাদ থমথমে হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকা। সূর্য অস্ত যেতেই শক্তিশালী বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয় পাশের দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লি। সবশেষ গতকাল মঙ্গলবার আরেক আঞ্চলিক প্রতিবেশী পাকিস্তানেও রাজধানী নগরী ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় হয় প্রাণহানি।

ঢাকায় আগারগাঁওয়ে বেতার ভবন আর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কাছে হামলা; দিল্লিতে লাল কেল্লার কাছে ব্যস্ত এলাকা আর ইসলামাবাদে আদালত ভবনের বাইরে হামলা। মাত্র দেড় দিনে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী তিন দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির আচমকা এমন অবনতি কি বার্তা দিচ্ছে?

ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অসমর্থিত এক সূত্রে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমশ তৎপরতা বাড়ছে সন্ত্রাসীদের।

আরও পড়ুন:

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ও নেপালসংলগ্ন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কয়েক মাস ধরেই সন্ত্রাসী সন্দেহে ধরপাকড় চলছে। এতে সন্ত্রাসীদের গতিবিধি ও নিয়োগে নতুন করিডোর তৈরির আভাস পাচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। নিউজ এইটিনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই ঘটে দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো নেপালে এবং আল-কায়েদা/আইএস গত পাঁচ মাস ধরে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে বাংলাদেশে। দিল্লিতে সোমবারের বিস্ফোরণের ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে চিহ্নিত করতে না পারলেও, সন্ত্রাস দমন আইনেই তদন্ত করছে পুলিশ। দায়ী করছে জইশ-ই-মোহাম্মদকে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশ-নেপাল সংলগ্ন ভারতের সীমান্ত এলাকায় নতুন প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন ও সদস্য নিয়োগসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত পৃষ্ঠপোষকতার জন্য তুরস্ককে দায়ী করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় কর্মকর্তা।

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়ায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভঙ্গুর তুরস্কের। সংঘাত ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষে তুরস্কের অবস্থানকে সরাসরি ভারতের স্বার্থবিরোধী বলে মনে করে নয়া দিল্লি। এছাড়া ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তান তুরস্কের ড্রোন ও অন্যান্য সামরিক সহায়তা ব্যবহার করে বলেও ভারতের আমজনতা থেকে শুরু করে সরকারি পর্যায় পর্যন্ত রয়েছে ক্ষোভ।

এফএস