যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতিও থামাতে পারেনি ইসরাইলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা। শর্ত ভেঙে তাদের চালানো হামলায় বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। আহতদের নিয়ে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে হাসপাতালে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে অন্তত ২২২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন।
শুধু তাই নয়, চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢুকতে দেয়ার কথা থাকলেও, ঢুকছে মাত্র ১৪০টির কিছু বেশি। অর্থাৎ ত্রাণবাহী ৭৫ শতাংশ ট্রাক আটকে দিচ্ছে ইসরাইল। এতে খাদ্য ও মানবিক সংকট তীব্র হচ্ছে। এই তথ্য তুলে ধরেছে জাতিসংঘ।
এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের স্থানান্তরের সুবিধা দেয়া সত্ত্বেও, বিশেষায়িত চিকিৎসার প্রয়োজন এমন ১৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি রোগী গাজায় আটকা পড়েছেন।
হামাস মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফের দিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে ইসরাইল কার্যত যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দেয়ার চেষ্টায় হামলা ও মানবিক সহায়তা আটকে দিলেও জিম্মিদের দেহাবশেষের সন্ধান অব্যাহত রাখার দাবি গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটির।
আরও পড়ুন:
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি এগিয়ে নিতে সোমবার ইস্তাম্বুলে হতে যাওয়া আলোচনার আগে শনিবার হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
বর্তমান যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি এবং মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও দখলদারিত্বের মাত্রা দিন দিন বাড়িয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টার্গেট করা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। শনিবার (১ নভেম্বর) একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে তারা।
চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে অধিকৃত পশ্চিম তীরেই দুই শতাধিক শিশুসহ অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী।
এদিকে এক বছরের স্থায়ী শান্তিচুক্তি উপেক্ষা করে দক্ষিণ লেবাননের কফারসির শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে চারজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত হওয়ায় ২০২৪ সালের নভেম্বরে হিজবুল্লাহর সাথে হওয়া যুদ্ধবিরতিও ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকায় সেনাও মোতায়েন রেখেছে ইসরাইল। যার কারণে নতুন করে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত শুরু আশঙ্কা বাড়ছে।




