যুদ্ধবিরতির মধ্যে ফিলিস্তিনি বন্দিদের হাত বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে উপুড় করে ফেলে রেখে ভিডিও প্রকাশ করে নিজেই বিশ্ববাসীর সামনে বর্বরতার দৃশ্য তুলে ধরলেন ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির।
শুধু তাই নয়, যুদ্ধবিরতির আওতায় গাজা উপত্যকার মানুষের নিরাপদে থাকার কথা থাকলেও টানা ৪দিন ধরে তীব্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। শনিবার রাতে খান ইউনিস এবং গাজা সিটিতেও চালিয়েছে আক্রমণ। বুলেট-বোমা আঘাতে প্রাণ ঝরছে ফিলিস্তিনিদের। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চালানো ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজাবাসীর প্রাণহানি ৬৮ হাজার ৫শ’ ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় খাবার, সুপেয় পানি এবং ওষুধ সংকটও কাটেনি। এতে করে প্রশ্নবিদ্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া এবারের যুদ্ধবিরতিও।
হামাসের দাবি, নেতানিয়াহু প্রশাসন ফন্দি আটছে যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেস্তে দেয়ার। এজন্য হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মরদেহ ফেরত পাচ্ছে না এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে ইসরাইল।
আরও পড়ুন:
গতকাল মৃত তিনজনের দেহাবশেষ পাঠানো হলেও, ইসরাইল বলছে হামাসের দেয়া সবশেষ দেহাবশেষগুলো তাদের কোনো বন্দীর নয়। অথচ রেড ক্রস জানিয়েছে, হামাস মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দিচ্ছে এবং বর্তমানে গাজায় ১১ জিম্মির মৃতদেহ খুঁজছে। আর ইসরাইলে ফেরত দেয়া দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহে বেশিরভাগেই রয়েছে নির্মম নির্যাতনের ছাপ।
এরপরও গণহত্যাকারী ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সমর্থন অব্যাহত থাকায় নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস কাউন্সিল। এমন পরিস্থিতিতে গাজা যুদ্ধবিরতি অটুট রাখতে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সোমবার ইস্তাম্বুলে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, ‘গাজায় ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন বাধা আছে কি-না সে বিষয়ে কি আলোচনা হবে? এছাড়া সমস্যাগুলো কী হতে পারে? পরবর্তী পর্যায়ে আমাদের কী করা দরকার? যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চলমান আলোচনার জন্য কী ধরণের সহায়তা পাওয়া যাবে? আশা করি সোমবার হতে যাওয়া বৈঠকে আমরা এসব বিষয়ে আলোচনা করব এবং সমাধানের পথে এগুতে পারবো।’
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরেও দখলদারিত্ব অভিযান দিন দিন জোরালো করছে ইসরাইল। যেখানে শিশুদেরও করা হচ্ছে হত্যা। এমনকি নাবলুসের কাছে থাকা ফিলিস্তিনিদের জলপাই বাগানেও ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের হতে দেয়া হবে না, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও এভাবেই দখলদারিত্ব চালাচ্ছে তেল আবিব।



