ভারতের উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’

সমুদ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত
সমুদ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত | ছবি: সংগৃহীত
0

ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর ঘোষণা করেছে যে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতীয় সময় রাত নয়টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর জানিয়েছে, তিন থেকে চার ঘণ্টা চলতে পারে এই ‘ল্যান্ডফল’। মছলিপটনম ও কলিঙ্গপটনমের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত করেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে, ল্যান্ডফলের সময়ে ওই অঞ্চলে হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের বিবৃতি উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে যে কৃষ্ণা, এলুরু, ইস্ট এবং ওয়েস্ট গোদাবরীসহ সাতটি জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। ওই সাত জেলায় ভারতীয় সময় রাত সাড়ে আটটা থেকে কাল ভোর ছটা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানার বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে মোট ৩৫টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়ে জানিয়েছে তারা আজ (মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর) ও বুধবার মিলিয়ে ৭২টি ট্রেন বাতিল করে দিয়েছে। ওড়িশা রাজ্যের অন্ধ্র প্রদেশ লাগোয়া অঞ্চলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে এরইমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে। আনা হয়েছে ভূমিধস সরানোর বড় বড় যন্ত্র এবং গাছ কাটার জন্য বৈদ্যুতিক করাত। অন্ধ্র প্রদেশে প্রায় আটশো এবং ওড়িশায় প্রায় দুই হাজার আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশ সরকার জানিয়েছে যেসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে চলেছে, সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি মেসেজ বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়েছে।

সেজু