যুদ্ধবিরতির মাঝেই নতুন হুমকি: হামাস নির্মূলে ট্রাম্পের ঘোষণা, পাল্টা অভিযোগ গাজা থেকে

ট্রাম্প ও হামাস
ট্রাম্প ও হামাস | ছবি: সংগৃহীত
0

আবারও হামাস নির্মূলের হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় আইডিএফকে সহায়তাকারী ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে হামাস এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন তিনি। অপরদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজায় হামলা চালিয়ে ইসরাইল চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ হামাসের। এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন বাকি জিম্মিদের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। তবে হামাস জানিয়েছে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের তৃতীয় দিনে ফের উত্তেজনা। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীদের সাহায্যকারী ফিলিস্তিনিদের হত্যার অভিযোগ। নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, হামাস গাজায় মানুষ হত্যা করলে গাজার ভেতরে প্রবেশ করে তাদেরও হত্যা করা হবে। তিনি নির্দেশ দেয়ার সাথে সাথে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালাতে শুরু করবে বলে জানান ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি দেখছি কী হচ্ছে এবং দেখব কী হয়। পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। আমি ধরে নিচ্ছি হামাস তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করবে। আমি আশা করি তারা তা করবে। আমরা আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে এনেছি। আমরা এতে খুব ভাগ্যবান ছিলাম। কিন্তু এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। আমরা দেখব তারা কেমন আচরণ করে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’

নতুন করে হামলা শুরু হলে তাতে মার্কিন সেনারা সরাসরি যোগ দেবে না বলে জানান তিনি। আর গাজায় মানুষ হত্যার অভিযোগের কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি হামাস। অভিযোগের জবাব না দিলেও ইসরাইলের বিরুদ্ধেও একই পাল্টা অভিযোগ করেছে হামাস। ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরেও গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে বলে অভিযোগ তাদের। এর আগে একই অভিযোগ করে জাতিসংঘের একটি সংগঠন। তবে হামাসের মতো এ অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি তেল আবিবও।

আরও পড়ুন:

ট্রাম্পের প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ২৮ ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করার কথা থাকলেও হামাস মাত্র ৯টি মরদেহ ফেরত দিয়েছে। গোষ্ঠীটি অত্যন্ত ধীরগতিতে মরদেহ হস্তান্তর করছে বলে অভিযোগ তেল আবিবের।

তবে বাকি ইসরাইলি জিম্মিদের মরদেহ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু। জানিয়েছেন এ বিষয়ে হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবেন তিনি।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যারা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে তারা ইসরাইলের পুনরুজ্জীবনের ভিত্তিপ্রস্তর। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনবো। আমরা যুদ্ধের সকল লক্ষ্য অর্জন করবো। কেউ আমাদের ওপর হাত তোলার চেষ্টা করলে তাদের কঠিন মূল্য দিতে হবে। আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করবে এমন বিজয় অর্জন করতে আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

কিন্তু হামাস বলছে, ইসরাইলি হামলায় উপত্যকাটির অনেক সুড়ঙ্গ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মরদেহ উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারে বিশেষ সরঞ্জাম ও সহায়তা প্রয়োজন। ফলে কিছুটা সময় লাগছে মরদেহ হস্তান্তরে।

এদিকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের জন্য বৃহস্পতিবার মিশরের রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার কথা থাকলেও এখনও তা বন্ধ রাখা হয়েছে। ইসরাইল জানিয়েছে, কিছু প্রস্তুতি বাকি থাকায় রাফাহ ক্রসিং কবে নাগাদ খুলে দেয়া হতে পরে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তার পরিবর্তে দক্ষিণ ইসরাইলের পার্শ্ববর্তী কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ অব্যাহত থাকবে।

ইএ