যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনে ইতি টানার চেষ্টা ব্যর্থ হয় সোমবারও। পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট- দু'দলের প্রতিনিধিরাই ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানানোর চেষ্টা করলেও তা সফল না হওয়ায় সপ্তম দিনে গড়ায় শাটডাউন।
এক লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল আটকে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে সরকারি সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম। ফেডারেল সরকারের সপ্তাহব্যাপী অচলাবস্থার জন্য জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার মাইক জনসন বলেন, ‘এখানে উপস্থিত ডেমোক্রেটরা খেলতে বসেছেন। আমরা একটা, স্রেফ একটাই অনুরোধ করেছি। এ উন্মাদনা বন্ধে, সরকারি কার্যক্রম সচল করতে ডেমোক্রেটদের সমর্থন দরকার আমাদের। তাহলে বছরের শেষে আমরা স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সংস্কারের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কগুলোও চালিয়ে যেতে পারি।’
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ মাইনরিটি লিডার হাকিম জেফ্রিস বলেন, ‘সংকট সমাধানে প্রশাসনের তরফ থেকে একটা শব্দ না শুমার শুনেছেন, না আমি শুনেছি। তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সরকারকে অচল করেই রাখতে চায় হোয়াইট হাউজ এবং ক্ষমতার প্রথম দিন থেকে মার্কিন জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া এই অরাজকতা চালিয়ে যেতে চায়।’
বিতর্কের মধ্যেই শাটডাউনে ইতি টানতে ডেমোক্রেটদের সাথে আলোচনা এবং সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক আভাস দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ডেমোক্রেটদের সাথে আমাদের আলোচনা ইতোমধ্যে চলমান। খুব ভালো কোনো খবর আসতে পারে। স্বাস্থ্যসেবার বিষয়েই কোনো ভালো সিদ্ধান্তের কথা বলছি আমি।’
কিন্তু আলোচনা চলমান জানিয়েও কিছুক্ষণের মধ্যেই সুর পাল্টান প্রেসিডেন্ট। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে জানান, শাটডাউন শেষ হলে তবেই স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিরোধীদের সাথে কাজ করতে রাজি হবেন তিনি। এমন তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যেই গণহারে সরকারি কর্মী-ছাঁটাইয়ের হুমকি হোয়াইট হাউজের।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘এই শাটডাউন চলতে থাকলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কারা ছাঁটাই হবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করছে ব্যবস্থাপনা ও অর্থবরাদ্দ বিভাগ।’
শাটডাউন দীর্ঘায়িত হতে থাকায় প্রভাব পড়ছে মার্কিন পুঁজি বাজারগুলোতেও। ডো জোন্সসহ বিভিন্ন সূচকে দেখা গেছে দরপতন।





