জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে কেন্দ্র-ডানপন্থি এ গ্রিক নেতা বলেন, ‘২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তবে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই ন্যায্যতা প্রমাণ করতে পারে না।’
মিটসোটাকিস বলেন, ‘গ্রিস ইসরাইলের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছে, তবে এটি আমাদের খোলামেলা ও স্পষ্টভাবে কথা বলতে বাধা দেয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা শেষ পর্যন্ত ইসরাইলের নিজস্ব স্বার্থের ক্ষতি করবে, যার ফলে আন্তর্জাতিক সমর্থন ক্ষয় হবে।’
এভাবে চলতে থাকলে ইসরাইলকে তার বন্ধু হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার ইসরাইলি বন্ধুদের বলছি যে, তারা যদি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ভেঙে ফেলার পথে অটল থাকে, তবে তারা তাদের বাকি সমস্ত মিত্রদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।’
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি ফ্রান্স ও ব্রিটেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে গ্রিস এখনো সে পথে হাঁটেনি। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবারের শুরুতে জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে পশ্চিমা নেতাদের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিদ্বেষ উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করেন।
তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়াতে নিউ ইয়র্কগামী পথে গ্রিসের আকাশসীমা অতিক্রম করে ঘুরপথে উড়ে গিয়েছিলেন।’
তুরস্কের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে গ্রিস ও ইসরাইল পারস্পরিক স্বার্থে ঘনিষ্ঠ হয়েছে, যা ডিসেম্বরে নেতা বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় তীব্র প্রভাব বিস্তার করেছে।
তবে গ্রিসে ইসরাইলবিরোধী জনমতও প্রবল এবং দেশটির সাবেক বামপন্থি প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।—বাসস





