জাতিসংঘের প্রায় ৮০ শতাংশ সদস্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গাজায় প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচারে হামলা এবং নারী ও শিশুসহ ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পর দেশটিকে এ স্বীকৃতি দেয়া হলো।
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এ তালিকায় চলতি সপ্তাহে ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাম যুক্ত করেছে। জাতিসংঘ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
শিগেরু ইশিবা বলেন, ‘ইসরাইলি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বক্তব্যে আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, যা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ধারণাকেই স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলে মনে হচ্ছে।’
ইসরাইল সরকারের অব্যাহত একতরফা পদক্ষেপ কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য, প্রশ্নটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি-না তা নয়, বরং প্রশ্নটি হল তা কখন।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে যদি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে— এমন আরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে জাপান এর জবাবে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।’
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সর্বশেষ পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয় গাজায় ইসরাইলের হামলার পর।
ইশিবা বলেন, ‘হামাসের সন্ত্রাস এবং আজ আমরা গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখছি, তা অনেককে গভীরভাবে দুঃখিত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ফিলিস্তিন টেকসইভাবে টিকে থাকতে পারা এবং ইসরাইলের সঙ্গে পাশাপাশি শান্তিতে বসবাস করতে পারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে তার ভূমিকা গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনি পক্ষকে অবশ্যই এমন একটি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।’





