জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ: আলোচনায় জলবায়ু, রোহিঙ্গা ও অর্থনীতি

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশন
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশন | ছবি: এখন টিভি
1

নিউ ইয়র্কে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশন, যেখানে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশও। বিশ্বের বৃহত্তম এ কূটনৈতিক সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন, রোহিঙ্গা সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হবে। একইসঙ্গে এ সফর ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রত্যাশাও দারুণভাবে যুক্ত হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ৮০তম পর্ব শুরু হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন বিশ্ব একাধিক সংকটে বিপর্যস্ত। জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বৈষম্য আর যুদ্ধের অভিঘাতে ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে বৈশ্বিক পরিস্থিতি। এ বাস্তবতায় বাংলাদেশের অবস্থান এবার আগের চেয়েও বেশি কৌশলগত।

এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান, অর্থনৈতিক বৈষম্য, ঋণ সংকট মোকাবেলায় বৈশ্বিক সমন্বয় এবং শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।

টাইম টেলিভিশন হেড অব নিউজ ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিবারই মিয়ানমারের দিক থেকে বলা হয় তারা তাদের নাগরিক ফেরত নিবে। সর্বশেষ ১ লাখ ৮০ হাজার রহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার একটি আশ্বাস দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ তারা নিচ্ছে না। তারা নানাভাবে তালবাহানা করছে। এ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি।’

আরও পড়ুন:

এবারও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু। ৮ বছর ধরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে মানবিকতার উদাহরণ তৈরি করেছে। তবে টেকসই সমাধান ছাড়া এ সংকট কেবল আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যই নয়, দেশের উন্নয়ন কাঠামোর জন্যও হুমকি হয়ে উঠছে। এ বিষয়টি ৩০ সেপ্টেম্বরের রোহিঙ্গা সম্মেলনে সমাধান আসবে বলেও প্রত্যাশা প্রবাসীদের।

আমেরিকা জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ জুবায়ের আলী বলেন, ‘যেহেতু আলোচনায় বসবেন, আমাদের দেশ থেকে বার বার কালক্ষেপণ করা হচ্ছিলো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিলো না। আমি আশাবাদী এবার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে একটি বিশেষ সভা করবেন বলে জানা গেছে। প্রবাসীরা মনে করছেন, এ সভা থেকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত একটি বাস্তব ঘোষণা এলে সেটি হবে এ সফরের অন্যতম অর্জন।


এফএস