বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত বেশিরভাগ মিথানল প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও জীবাশ্ম উৎস থেকে উৎপাদিত হয়। যা পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। অন্যদিকে, ই-মিথানল পুনর্ব্যবহৃত কার্বন ডাই অক্সাইড, বায়োগ্যাস, জৈববস্তু, বর্জ্য বা পয়ঃনিষ্কাশনের নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত হয়।
আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের লক্ষ্য জাহাজের জ্বালানি খাতে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। এরই অংশ হিসেবে বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে মরিয়া হয়ে ওঠে শিপিং কোম্পানিগুলো।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ই-মিথানল প্ল্যান্ট চালুর কার্যক্রম শুরু করেছে ডেনমার্ক। নতুন প্ল্যান্টটি প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৫ কোটি লিটার ই-মিথানল উৎপাদন করবে। এতে যৌথভাবে বিনিয়োগ করেছে ডেনমার্কের ইউরোপীয় এনার্জি ও জাপানের মিৎসুই কোম্পানি।
চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় শূন্য কার্বন নির্গমন জ্বালানির দাম প্রচলিত জ্বালানির তুলনায় বেশি ব্যয়বহুল। ২০৩৫ সালে এসব জ্বালানির দামে সমতা আনার আশা প্রকাশ করেছেন ডেনিশ ইউরোপীয় শক্তির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
ইউরোপীয় এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নড এরিক অ্যান্ডারসন বলেন, ‘এই ধরনের উদ্যোগ জ্বালানি খাতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। যা নিয়ে গর্ব করতে পারবে ডেনমার্ক। বৃহত্তর অর্থনীতি সম্প্রসারণে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।’
কন্টেইনারবাহী জাহাজের বহরে জ্বালানি হিসেবে ই-মিথানল ব্যবহারে এরইমধ্যে চুক্তি করেছে শিপিং জায়ান্ট মায়ের্স্ক। যার মধ্য দিয়ে এই প্ল্যান্টের প্রধান গ্রাহক হবে প্রতিষ্ঠানটি। দুই ধরনের জ্বালানি দিয়ে কনটেইনার জাহাজ পরিচালনার পরিকল্পনা বিশ্বে এটিই প্রথম। এরইমধ্যে ১৩টি জাহাজ যুক্ত হয়েছে।
এছাড়া, ওষুধ প্রস্তুতকারক নোভো নরডিস্ক এবং খেলনা প্রস্তুতকারক লেগো সিরিঞ্জ, কলম ও প্লাস্টিক তৈরিতে ই-মিথানল ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে।