সাদা আর নীল পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে উত্তাল তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ার। শত শত নয়, হাজার হাজার মানুষ নেমেছেন ইসরাইলের রাস্তায়। অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে আর গাজায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরুর প্রতিবাদ এখন চরমে।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘ইসরাইলের সবচেয়ে বড় শত্রু হামাস না, কারণ আমরা হামাসের বিপক্ষে জিততে পারি। ইসরাইলের শত্রু নেতানিয়াহু। ২০ বছর ধরে দেশ নিয়ে ভাবছেন না তিনি।’
আরেকজন বলেন, ‘যুদ্ধ থেকে বের হতে ইসরাইলের সরকার কিছুই করেনি। হামাসও নির্মূল হয়নি, বন্দিরাও মুক্তি পায়নি। সরকার ব্যর্থ হয়ে এখন সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে।’
যদিও রোনেন বারকে বহিষ্কারের বিষয়টি স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এর পরও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভে সোচ্চার পুরো দেশ। খোদ ইসরাইলের সাধারণ মানুষের দাবি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক, মুক্তি মিলুক বন্দিদের। বন্দিদের স্বজনদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু মৃত্যু বেছে নিয়েছেন, জীবন বাঁচানো না।
ইসরাইলিদের একজন বলেন, ‘আমি হতাশ, বন্দিদের নিয়ে চিন্তিত। তাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা উচিত। এজন্য বিক্ষোভে এসেছি। বন্দিদের ফিরিয়ে না আনলে এই দেশের অগ্রগতি হবে না।’
আরেকজন বলেন, ‘খুব ভালো লাগবে, যদি দেখি সব বন্দি মুক্তি পেয়েছে। আমরা শুনছি, মানুষ বিক্ষোভ করছে, সবার একটাই দাবি। বন্দিরা বাড়ি ফিরুক।’
এদিকে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে স্পেনের স্যান সেবাস্তিয়ানে জড়ো হয়েছেন হাজারো ফিলিস্তিনপন্থীরা। সিটি সেন্টারে এই বিক্ষোভে ব্যানার হাতে স্লোগান দিয়ে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান তারা। এসময় গণহত্যার দায়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।