ইউক্রেনেই ন্যাটো বানানোর হুঁশিয়ারি জেলেনস্কির

বিদেশে এখন
0

ইউক্রেনেই ন্যাটো বানানোর হুঁশিয়ারি দিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সেসময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে সাইড টেবিল বৈঠক করেন জেলেনস্কি।

হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পর এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগী হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি।

যুদ্ধবিরতির রূপরেখা সাজাতে দুপক্ষকেই ছাড় দেয়ার কথা বলেন ট্রাম্প। ইউক্রেনকে দেয়া হবে না ন্যাটোর সদস্যপদ। সেই সঙ্গে কিছু অঞ্চল রাশিয়ার দখলেই থাকবে বলে জানান তিনি। যুদ্ধবিরতিতে পুতিন রাজি না হলে বাণিজ্যিক মারপ্যাঁচে ফেলার হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যখন মধ্যস্থতার কাজ করছেন ট্রাম্প, গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টাতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সুযোগ হয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার। জার্মানিতে শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী মিউনিখ সিকিউরিটি কাউন্সিল সম্মেলনে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করেন তিনি।

সেসময় ন্যাটো সদস্যপদ না পাওয়ার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, এর বিকল্প হিসেবে ইউক্রেনেই ন্যাটো বানাবেন তিনি। ইউক্রেনীয় সেনাদের সংখ্যা আরও দ্বিগুণ করার বিষয়েও তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ অথবা কাল ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে। এটা তেমন কোন বিষয় নয়। তবে এখন আমরা যেটা করতে পারি, ইউক্রেনে ন্যাটো গড়ে তুলবো। সেনা সংখ্যা দ্বিগুণ করবো। রাশিয়ার ২২০ টি ব্রিগেড রয়েছে, আমাদের আছে ১১০ ব্রিগেড। আমরাই সেই পথে হাঁটবো।’

তবে মিষ্টি কথায় শান্ত হওয়ার পাত্র নন পুতিন। মিউনিখ সম্মেলনে এমন আতঙ্ক জানিয়ে সকলকে সতর্ক করেছেন জেলেনস্কি। শঙ্কা জানান, আগামী ১ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশেও হামলা চালাতে পারেন তিনি।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের এমন সতর্কতায় কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। তিনি বলেন, আগামী কয়েকবছরের মধ্যে ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী করা হবে। প্রতিপক্ষ চীন ও রাশিয়া ইউরোপের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না বলে ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে আশ্বস্ত করেন তিনি।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনকে হুমকি মনে করছি না। তবে ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যে সম্পর্ক রয়েছে তা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সে বিষয়টাকেই বেশি ভয় লাগে।’

সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি। কথা বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনের চেয়ারম্যান ওরসুলা ভন দের লিয়েনসহ মার্কিন সিনেটরদের সঙ্গেও।

ইএ