প্রতি দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিযোগিতাটি এ বছর আয়োজিত হয়েছে ফ্রান্সের লিওনে। মিশর, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করে পেস্ট্রি প্রতিযোগিতায়। তবে চূড়ান্ত পর্বে স্বাগতিক দেশ ফ্রান্সকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতে নেয় জাপান।
অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলে সদস্য ছিলেন ৩ জন। তারা প্রত্যেকে মূলত চকলেট, আইস ও সুগার তৈরির বিশেষজ্ঞ। বেঁধে দেয়া ৫ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে বিভিন্ন নকশা ও উপাদান ব্যবহার করে নিজ দেশের খাদ্য শৈলী এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন প্রতিযোগীরা।
এবারের চ্যাম্পিয়ন দল জাপান হিমায়িত মিষ্টি হিসেবে তৈরি করে অ্যাপ্রিকট দিয়ে একটি ঘূর্ণায়মান খেলনা আকৃতির মিষ্টি। আর রেস্তোরাঁর মিষ্টি হিসেবে তৈরি করেছিলেন গাছের পাতার আকৃতিতে তৈরি একটি গ্রানিটা। যা লেবু, নাশপাতি, মারিগোল্ড ও চকলেট দিয়ে তৈরি।
রানার্সআপ ফ্রান্স তৈরি করেছিল চকলেট-হ্যাজেলনাট সাফোলে মুস দিয়ে ভরা চকলেট ডিম। এটি সাইট্রাস-ভ্যানিলা মাখনে ডুবিয়ে গ্রিল করা ভ্যানিলা আইসক্রিম ও ক্লেমেন্টাইন কনফিটের সাথে পরিবেশন করা হয়।
এবারের আয়োজনে তৃতীয় স্থান অর্জন করে মালয়েশিয়া। দলটি তাদের হিমায়িত মিষ্টিতে উজ্জ্বল সাইট্রাস, মিষ্টি অ্যাপ্রিকট এবং মসলার সমন্বয় ঘটিয়ে তাদের দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরে। মালয়েশিয়ার পরই চীন, বেলজিয়াম, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও আর্জেন্টিনা আছে যথাক্রমে সেরা দশের তালিকায়।
১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয় মিষ্টি খাবার তৈরির এই বিশ্বকাপ আয়োজনটি। যা টানা ৩৬ বছর ধরে চলছে। এই আয়োজনে প্রথম চ্যাম্পিয়ন দেশ ফ্রান্স। এখন পর্যন্ত ৮ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে আয়োজনের শীর্ষে দেশটি। এরপরই জাপান। দেশটি এখন পর্যন্ত ৪ বার শিরোপা জিতেছে।