বিদেশে এখন
0

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন বলে আশা ট্রাম্প সমর্থকদের

চার বছর আগে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকরা নজিরবিহীন দাঙ্গা সৃষ্টি করেছিল ট্রাম্পের সমর্থকেরা। এবার শান্তিপূর্ণভাবেই ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন ডেমোক্র্যাট দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এদিকে, ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন বলে আশা ট্রাম্প সমর্থকদের।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে আছে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা ছিল ট্রাম্পের। তবে সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থকেরা। ট্রাম্প তাদের উস্কে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

চার বছর পর নাটকীয় প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আবারও হোয়াইট হাউজের মসনদে রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার শান্তিপূর্ণভাবেই মার্কিন কংগ্রেস তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিলো মার্কিন কংগ্রেস। সোমবার, কামালা হ্যারিসের সভাপতিত্বে কংগ্রেস অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পকে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।

এরই মধ্যে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা হ্যারিস ক্ষমতা হস্তান্তরের সব প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করেছেন বলে জানা গেছে। এসময় তিনি মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ডেমোক্র্যাট দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেন, ‘আমার পুরো কর্মজীবনে যা করেছি, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে সমর্থন ও রক্ষা করা। সংবিধান মেনেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। মার্কিন জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব। গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’

কংগ্রেসের এ স্বীকৃতির ফলে ট্রাম্প ও তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টি এবার সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেল। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে সরকার গঠনের আগেই বেশ কিছু প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি। যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ, শুল্কারোপ এবং ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করার বিষয়টিও আছে। ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।

এদিকে, ট্রাম্প সমর্থকদের অভিযোগ, এ ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন অনেকে। প্রকৃত দোষীদের অনেকেই বিচারের আওতায় আসেনি। এছাড়া, ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় নিহতদের পরিবারও কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি।

নিহতদের পরিবারের সদস্যদের একজন বলেন, ‘যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা এখানে এসেছি। যারা সেদিন ট্রাম্প প্রশাসনকে সমর্থন জানিয়েছিল তাদের সম্মান জানাচ্ছি।’

২০২০ সালের নির্বাচনে ফল উল্টে দেয়ার অভিযোগে নিজেই মামলার মুখে আছেন ট্রাম্প। যদিও প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে দুই কক্ষেই এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে রিপাবলিকান পার্টি।

ইএ