'প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার' এই প্রতিপাদ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে উদযাপন হলো আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বিশেষ এই দিবসটি ঘিরে দূতাবাসে ছিল বিভিন্ন আয়োজন।
প্রবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভূমিকা ও ২০২৪ সালের কার্যাবলী উপস্থাপন করেন দূতাবাস কর্মকর্তারা। পরে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান ও কল্যাণবিষয়ক কার্যক্রমের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ১১ জন প্রবাসী ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে উত্তরীয় ও সনদ প্রদান করা হয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের তথ্য সেবা প্রদান সহজ করার লক্ষ্যে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেটের সম্মেলন কক্ষে চলে আলোচনা সভা। বক্তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের আহ্বান জানান।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট কাউন্সেলর মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও বিশ্বে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো জন্য আপনারা বৈধ চ্যানেলে বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠাবেন।’
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আমরা দিতে পারব,আর কিছু তথ্য রয়েছে তা দিতে হলে নথি দেখতে হবে। ’
মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে মালয়েশিয়ায় বৈধ প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। যার সিংহভাগ বাংলাদেশি। আর এই প্রবাসীদের সম্মান জানাতেই বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে রাজধানী কুয়ালালামপুরেও নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস।
আয়োজনে শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ও নানা পেশায় সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ প্রবাসীকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। হাইকমিশনার জানান, প্রবাসীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিতে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, ‘ বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বৈধভাবে রেমিট্যান্সসহ সকল ধরনের ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে তারা আরো গভীরভাবে সংযুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
এদিকে স্থানীয় সময় বুধবার বিকালে কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের আয়োজনে শুরু হয়েছে ৪ দিন ব্যাপী বিজয় মেলা। পাশাপাশি চলছে বাংলাদেশ ট্রেড, রিয়েল এস্টেট ও রেমিট্যান্স ফেয়ার। মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশি ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। দোহা আবু হামুর বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত।