বিদেশে এখন
0

আবারো রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল নামার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ?

আবারো রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল নামার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ? ১১ মাসের সহিংসতার পর বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে নাফ নদী সংলগ্ন মিয়ানমারের মংডু শহর আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। গেলো সপ্তাহে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের পুরোটাই দখল করে নেয় আরাকান আর্মি। রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্য দিয়ে দেশের পশ্চিম সীমান্তে পতন ঘটে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর।

বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে জান্তার শেষ অবস্থান ধরে রেখেছিল সীমান্তরক্ষী পুলিশ বাহিনী। বিজিপি ফাইভ ব্যারাককে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে সেখানে চূড়ান্ত আঘাত হানে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।

আরাকান আর্মির ধারণকৃত ভিডিওতেই দৃশ্যমান, কয়েক দশক দেশকে তটস্থ করে রাখা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘাঁটি কীভাবে দখল করে নিচ্ছে বিদ্রোহী যোদ্ধারা। মাথার ঠিক উপরে বিমানবাহিনীর বোমারু বিমান গর্জন করে উড়ে চললেও তাতে তোয়াক্কা নেই খালি পায়ে যুদ্ধক্ষেত্র দাপিয়ে বেড়ানো আরাকান আর্মি যোদ্ধাদের।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়ার পর থেকে মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।

সেনাবাহিনীর ওপর চূড়ান্ত আক্রমণে মাটির নিচে লুকানো এক হাজারের বেশি মাইন বিস্ফোরিত হয়ে প্রাণ কিংবা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়েছে অনেক যোদ্ধা, জানিয়েছে আরাকান আর্মি। নিহত যোদ্ধার সংখ্যা সাড়ে চারশোর বেশি।

অভ্যুত্থানের হোতা মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়ের জন্য পিছু হঠার বছরে এটি আরও বড় অপমানজনক পরাজয়। প্রথমবারের মতো রাখাইনে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তার বাহিনী।

দীর্ঘ সীমান্তের পুরোটাই আরাকান আর্মির হাতে চলে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে গেলো সপ্তাহে। রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্য দিয়ে দেশের পশ্চিম সীমান্তে পতন ঘটে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর।

রাখাইনের প্রাদেশিক রাজধানী সিতওয়ে এখনও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে; তবে দেশের বাকি অংশের সাথে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের প্রথম বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে পুরো একটি রাজ্যের দখল নেয়ার পথে আরাকান আর্মি।

এদিকে, ১১ মাসের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে নাফ নদী সংলগ্ন মিয়ানমারের মংডু শহরও আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দু'পাশেই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।

সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন প্রচেষ্টার মুখে আগেই সীমান্তপথে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ, রাখাইনে এখনও বাস অন্তত পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার।

ইএ