বিদেশে এখন
0

সামিট ফর ফিউচারে প্রাধান্য পেয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন ও কোরীয় উপদ্বীপ ইস্যু

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সামিট ফর ফিউচারে প্রাধান্য পেয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন ও কোরীয় উপদ্বীপ ইস্যু। সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, বিশ্বের এখন শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত ও স্থিতিশীল উন্নয়ন প্রয়োজন। বিশ্বে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে চীন। অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, সত্যিকারের মানবিকতা নিহিত সম্মিলিত শক্তিতে।

রাশিয়া ইউক্রেনের অনেক জায়গা দখল করে নিলেও, বিশ্বের ভবিষ্যত নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না তারা। জাতিসংঘের সাধানরণ পরিষদে সামিট ফর ফিউচারে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই প্রসঙ্গে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বরাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান হারিয়েছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বায়ত্বশাসিত দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোন নীতি নিয়ে জাতিসংঘ আলোচনা করছে না।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভারশিন বলেন, ‘জাতিসংঘের বিশ্বস্ত সদস্য দেশ হিসেবে বলতে চাই, রাজনৈতিক স্বার্থ ছাড়া জাতিসংঘের কাজ করতে হবে। আন্তর্জাতিক সমঝোতা রক্ষায় একযোগে কাজ করবো। কিন্তু জাতিসংঘেরও বহুমুখী বিশ্ব তৈরিতে ভূমিকা রাখতে হবে । আমরা নিজেদের স্বার্থে কাজ করি না। সংস্থাটির মাথায় রাখা উচিত, কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন হস্তক্ষেপ না হয়।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশকে একতা রক্ষার জন্য প্রশংসা করি। আপনারা জানেন, কারা এই পুরো বিশ্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। একতা দিয়ে কতোকিছু সম্ভব তা ইউক্রেনকে দিয়ে বোঝা যায়। রাশিয়াকে সন্ত্রাসী কাজের জবাব দিতে হবে। ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। আমাদের সহযোগিতা করুন।’

সম্মেলনে অংশ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, মানবজাতির সফলতা নির্ভর করে সম্মিলিত শক্তিতে, সংঘাতে নয়। যে কারণে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পুনর্গঠন প্রয়োজন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছি। উন্নয়নে কাজ করছি। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। মানবতার সফলতা একত্রিত শক্তিতে অন্তর্নিহিত, যুদ্ধক্ষেত্রে নয়। শান্তি আর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পুনর্গঠন প্রয়োজন। পুনর্গঠনই চাবি।’

কোরীয় উপদ্বীপের অস্থিরতাও উঠে আসে আলোচনায়। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কয়েকটি দেশের নিষেধাজ্ঞায় এখন পর্যন্ত অনেক ক্ষতি হয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের। জাতিসংঘকে সংঘাত বন্ধে আর আস্থা ফিরিয়ে আনতে অনেক কাজ করতে হবে।

সম্মেলনে চীনের আলোচনায় উঠে আসে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিষয়টি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এআই'এর সুষ্ঠু ব্যবহারের মধ্য দিয়ে দেশে দেশে সুশাসন আর সমঝোতা নিশ্চিত করা সম্ভব। চীন এআই প্রযুক্তিতে নির্ভরশীল হচ্ছে জানিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশকে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের আহ্বান জানান চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ওয়াই।

ইএ