আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি এরইমধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে এটি এগিয়ে আসছে পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে। ক্রমেই দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এরইমধ্যে সিন্ধু, করাচি, বেলুচিস্তানসহ বেশকিছু উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়েছে।
করাচিতে গত একদিনে ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী রোববার পর্যন্ত এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস। এতে তলিয়ে যেতে পারে নিম্নাঞ্চল। দেশটির বৃহত্তম শহর করাচি ও বেলুচিস্তানে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলে ও নাবিকদের উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদের চলাচল করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ভূমিধসের আশঙ্কায় সতকর্তা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘ঝড় হলেও আমাদের সমুদ্রে যেতে হবে। পরিস্থিতি ভালো হলেই আমরা মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যাবো।’
আরেকজন বলেন, ‘করাচিতে এর আগেও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা শুনেছি। তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এবারও বিপদ কেটে যাবে।’
যত সময় যাচ্ছে ভারতীয় উপকূল থেকে তত দূরে সরে যাছে ঘূর্ণিঝড় আসনা। আগামী দুই দিনের মধ্যে এটি আরব সাগরের উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এরইমধ্যে বন্যায় বিপর্যস্ত গুজরাটে আরও দুইদিন বৃষ্টির আশঙ্কায় আতঙ্কে আছেন বাসিন্দারা।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কায় পাকিস্তান ও ভারতের বেশকিছু শহরে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নিতে বাসিন্দাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সবশেষ ১৯৭৬ সালে এরকম ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছিল আরব সাগরে।