আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালে ঘণ্টায় আড়াইশ কিলোমিটার গতিবেগে জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কিয়ুশু দ্বীপের সাতসুমাসেন্দাই শহরের কাছে আঘাত হানে বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন 'শানশান'। এতে মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা উপকূল।
ঝড়ের তাণ্ডবে উপকূলীয় এলাকায় বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও অন্যান্য স্থাপনা। উপড়ে গেছে বহু গাছপালা। টাইফুন 'শানশান' বর্তমানে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার নাগাদ এটি কিয়ুশু দ্বীপে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, শানশানের প্রভাবে কিয়ুশু দ্বীপে ৪৮ ঘণ্টায় ১১শ' মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, টাইফুনের আঘাতে কিয়ুশুর সাতসুমাসেন্দাই শহরে ভূমিধসে কয়েকজনের মৃত্যুর পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত অর্ধশত। নতুন করে আরও ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকা অন্তত ৪০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। ঝড়ো হাওয়া আর প্রবল বৃষ্টিতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন কিয়ুশু দ্বীপের লাখ লাখ মানুষ। কাগোশিমা অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে।
টাইফুনের কারণে জাপানের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন্স জাপান এয়ারলাইন্স, অল নিপ্পন এয়ারওয়েজসহ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের ৬ শতাধিক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এতে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার যাত্রী। বৈরি আবহাওয়ার কারণে জাপানে ১৪টি কারখানার কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিখ্যাত অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান টয়োটা। নিসান আর হোন্ডাও কিয়ুশুর কারখানাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করেছে। ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন চলাচল।
জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, টাইফুন শানশান চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে অগ্রসর হবে। আঘাত হানতে পারে রাজধানী টোকিওতেও। বলা হচ্ছে, দেশটির ইতিহাসে আঘাত হানা শক্তিশালী টাইফুনগুলোর একটি হতে পারে 'শানশান'। এর আগে চলতি মাসেই জাপানে আঘাত হানে টাইফুন আমপিল।