ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় সম্মেলনে সপ্তাহজুড়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিসের হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তিত্বে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের ১১ সপ্তাহ বাকি থাকায় হারানো আলো ফিরিয়ে আনতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে অ্যারিজোনার সমাবেশে কর কমানো এবং শিশুরোগ ও বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা বেড়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করার আশ্বাস দেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। এতে, আবারও উদ্দীপনা বাড়তে শুরু করেছে ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে।
ট্রাম্প সমর্থকদের একজন বলেন, ‘এই মুহূর্তে ট্রাম্পের কথাবার্তা আমার ভালো লাগছে। যে খসড়া পরিকল্পনা তিনি দিয়েছেন, তাতে কিছু সমস্যার সমাধান দেখতে পাচ্ছি।’
৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক এজেন্ডার মূল স্তম্ভ বলা হচ্ছে কর প্রস্তাবকে। আর তাই প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালার চেহারা, বুদ্ধিমত্তা বা কৃষ্ণাঙ্গ-ভারতীয় বংশপরিচয় টেনে কথা বলা বন্ধ করে অর্থনৈতিক এজেন্ডা নিয়েই কথা বলার পরামর্শ ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের। কিন্তু প্রচারণায় অর্থনীতি এগিয়ে নেয়ার আশ্বাস থাকলেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করা থেকে নিজেকে কিছুতেই বিরত রাখতে পারছেন না সাবেক প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সে একটা মিথ্যেবাদী। সব বানোয়াট কথা বলে। সে তো কর বাড়াবে। আর সে বলছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প কর বাড়াবে। কেন এ কথা বলেছে জানেন? কারণ আমি আমার দেশে আসা ভিনদেশিদের ওপর কর বসাবো। এর সঙ্গে আমাদের করের কোনো সম্পর্ক নেই।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার দিনের কনভেনশনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর দিকেই নজর ছিল যুক্তরাষ্ট্রবাসীর। এবার সেই নজর নিজের দিকে ফিরিয়ে আনতে একের পর এক অঙ্গরাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন ট্রাম্প। গণমাধ্যমের নজরে আসার চেষ্টা করলেও পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি আর অপরাধ নিয়ে তার বক্তব্য হ্যারিসকে স্পটলাইট থেকে সরাতে পারেনি। তাই তো কামালা ২০ কোটি ডলারের বেশি নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করে ফেললেও একই সময়ে ট্রাম্পের অর্জন পাঁচ কোটি ডলারেরও কম।