ইউরোপে ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক হ্যানস ক্লুজ বলেন, ‘আমরা একত্রে এমপক্স প্রতিরোধ করতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘হয় এমপক্সের বিস্তার রোধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অথবা নতুন করে কোনো মহামারি শুরু হবে। তবে যাই করা হোক না কেন, তা দীর্ঘমেয়াদে ইউরোপ ও পুরো বিশ্বের ওপর প্রভাব ফেলবে।’
ভাইরাসের কারণে এমপক্স হয়ে থাকে। এর ফলে ফ্লু এর মতো উপসর্গ দেখা দেয় এবং গায়ে পুঁজের মতো ক্ষত তৈরি হয়। ভাইরাসটির ক্লেড ওয়ানবি ধরনটি বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা সাধারণ সংস্পর্শে এটি দ্রুত অন্য মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ছে।
গত সপ্তাহে সুইডেনে এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার একটি ঘটনা জানা গেছে, যা আফ্রিকাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রকাশ পাওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে বৈশ্বিক পর্যায়ে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতামূলক পরিস্থিতি বলে ঘোষণা দিয়েছে।
হ্যানস ক্লুজ জানান, ক্লেড ওয়ান ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করার মাধ্যমে কম শক্তিশালী ক্লেড টু কেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ২০২২ সাল থেকেই ক্লেড টু আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে প্রতিদিন ১০০ এর বেশি ক্লেড টু এমপক্স সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
চিকিৎসকদের তথ্যানুযায়ী, শারীরিক সংস্পর্শে ভাইরাসটি ছড়িয়ে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ মহামারির মতো বাতাসে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।