বিদেশে এখন
0

ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক সহিংসতার প্রভাব পড়তে পারে

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রভাব পড়ার ধারণা করছেন অনেকে। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে ভিন্নমতের কোনো জায়গা নেই। এখন কথা উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইন নিয়ে। এ ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা তদন্ত শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন এক সময়ে হত্যাচেষ্টার শিকার হলেন, যখন জাতীয় সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত তার দল। দুদিন পরেই এই সম্মেলনেই ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকানদের প্রার্থী করার কথা।

এমন অবস্থায়, সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর হামলার পর অনেকেই আশঙ্কা করছেন, আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে বাড়তে পারে সহিংসতা ও অঘটনের মাত্রা। কারণ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতা নানা রূপ পেয়েছে। সামনে এসেছে ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গা, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও হুমকি দেয়ার মতো ঘটনা। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক মাস আগে মিশিগানের গভর্নরকে অপহরণের ষড়যন্ত্র করা হয়। নির্বাচনের ফলাফল চুরির অভিযোগও উঠে। যা দুই পক্ষের ক্ষোভকে সহিংসতার দিকে নিয়ে গেছে।

দেশটির সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ সংস্থার তথ্য বলছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটিয়েছেন তাদের বেশির ভাগই কোনো আনুষ্ঠানিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। হামলার পেছনে পক্ষপাতিত্ব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্যের ছড়াছড়ি এবং ট্রাম্প ও তার মিত্রদের বিদ্বেষপূর্ণ কথাবার্তা অন্যতম কারণ বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

যদিও, হামলার কারণ বা উদ্দেশ্য কিছুই এখনো জানা যায়নি। হামলাকারীর রাজনৈতিক বিশ্বাসই বা কী, এটাও স্পষ্ট না। হামলার ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির আইনশৃংখলা বাহিনী।

ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কিছু রাজনৈতিক সহযোগী ও সমর্থক বাইডেনকে দোষারোপ করছেন। ট্রাম্পের সহযোগী সিনেটর জেডি ভান্সের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে আসছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। যা রাজনৈতিক সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছে। এ ধরনের হামলার ঘটনায় তাই নির্বাচনী প্রচারেও প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. আলী রীয়াজের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে, কখনই রাজনৈতিক ফায়দার জন্য হামলা করার কোনো নজির নেই। তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে পারে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক গোলাগুলির ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন জোরদার করার দাবি আবারও জোরাল হয়েছে।

ইএ